সামরিক আইন জারি করে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র কথাটা মানায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রের ধারা বজায় রাখে। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করেনি।
আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করা, বাংলাদেশে মানুষের ও বাঙালী জাতীর স্বাধিকার রক্ষা করাই এই সরকারের কাজ। যারা এই জাতীর চেতনা ও অধিকার রক্ষায় গড়ে ওঠে। আপনারা জানেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রথমে আওয়ামী মুসলিম হিসেবে গড়ে ওঠে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকেই সেখান থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিয়ে এই সংগঠনটি গড়ে তোলেন। বাংলাদেশের মানুষকে এক করেন দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে। তার কথায় সারাদেশের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীর পিতা বাংলাদেশে একটি স্বাধীন সংবিধান এনে দেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর রাষ্ট্র পরিচালনায় একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করেন।
তিনি বলেন, জাতীর পিতা শুধুমাত্র ১৯৭২ সালেই দেড়শর মতো আইন প্রণয়ন করেন যা অভাবনীয়। সেই আইনগুলোর পাশাপাশি এত দ্রুত সংবিধানে নানা পরিবর্তন আনা অকল্পনীয় বলা চলে। তাছাড়া যত আইন দরকার, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাষ্ট্রে যা যা দরকার সবকিছুই তিনি করে দিয়ে গেছেন। দেশের প্রতিটা বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়ে দিয়ে গেছেন। সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে বর্ডার গার্ড বাহিনীও শেখ মুজিবের হাতে করা।
আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যেখানেই কাজ করতে যাই তার স্পর্শ পাই। আজকের স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনে চুক্তি বা সদস্যপদ লাভ করা সবই ওই সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তিনি সম্পন্ন করে দিয়ে গেছেন। সেই ব্রিটিশ আমলের শক্তি বা পাকিস্তানী শক্তিকে সরিয়ে এদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছেন। দেশের মহকুমাগুলোকে তিনি জেলায় রূপান্তর করেন। তবে সে কাজগুলো তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে হত্যা করা হলো। তার সাথে হত্যা করা হলো আমার মাকে, আমার ছোট তিন ভাইকে. আমার একমাত্র চাচাকে, আক্রমণ করা হয় আমার ফুফুর বাড়িতেও।
news24bd.tv/FA