নড়াইলে মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ

সরিষার

নড়াইলে মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ

নড়াইল প্রতিনিধি

দিগন্ত বিস্তৃত হলুদে ছেয়ে গেছে নড়াইলের ফসলি মাঠ। চারদিকে হলুদের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার তিনটি উপজেলায় এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা ১৪, ১৭ সহ বিভিন্ন প্রজাতির সরিষার আবাদ হচ্ছে।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন চাষীরা। এবছর সরিষায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশা তাদের। তবে সেচ ও সারে অন্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি ব্যয় হয়েছে। তাই বাজারদাম একটু ভালো পেলে সরিষা চাষে লাভবান হবেন চাষীরা।
 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত বছর সরিষা চাষ হয়েছিল ৭ হাজার ৮০ হেক্টর। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২শ ১৫ হেক্টর। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর ২ হাজার ১শ ৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে।

সরিষা চাষীরা জানান, শীত যত বাড়বে সরিষা তত ভালো হবে। এখন পর্যন্ত কোনো পোকা-মাকড়ের আক্রমণও নেই। আবহাওয়া এমন  অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে। তবে এ বছর সার ও সেচে অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। ফলে বাজারদর যদি না বাড়ে তাহলে সরিষা চাষে লস হবে কৃষকের। যারা বর্গা চাষী অছেন তাদের চালানও বাঁচবে না। এদিকে কৃষি অফিস থেকে সহায়তা ও পরামর্শ কেউ কেউ পেলেও অনেক চাষীই তা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, কৃষি বান্ধব সরকারের মাধ্যমে ১১ হাজার ৪শত কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে সরিষার বীজ দিয়েছি। কৃষকদের সার দিয়েছি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ৫০০ কেজি বারি সরিষা ১৮ এর বীজ এনেছি। যা বিঘা প্রতি প্রায় ৮ মণ ফলন দেবে। এছাড়াও নড়াইল জেলায় গত বছরের চেয়ে এ বছর ভোজ্য তেল প্রায় ২৫-৩০% উৎপাদন বেশি হবে বলে আশাবাদী এই কর্মকর্তা।

news24bd.tv/রিমু