অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ৫জি চালু করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ৫জি চালু করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫জি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সমগ্র দেশকে ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে এসেছি। ৪জি আমরা চালু করেছি। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়েছি।

এই অঞ্চলগুলোতে আমরা ৫জি চালু করবো। এটা সব জায়গায় দরকার নেই। এটা অর্থনৈতিক অর্থাৎ ব্যবসায়িক অঞ্চলের জন্যই প্রযোজ্য। ’

রোববার (১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে কেউ ইন্ডাস্ট্রি করলে সেখানে কোনো রকম সার্ভিস পাবেন না। ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্ডাস্ট্রি করতে হবে। এটা বেসরকারি খাতেও তৈরি হচ্ছে, সরকারিভাবেও ১০০টি করছি। ইতোমধ্যে ৩০টির কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বিনিয়োগও শুরু হয়ে গেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আমরা চায়। ’

এ সময় যুব সমাজকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা চায় যুব সমাজ বিনিয়োগ করুক। তাদের জন্য আমরা স্টার্ট আপ প্রোগ্রাম চালু করেছি। ইয়াং বাংলা দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাদের বিনা জামানতে ব্যাংক ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবস্থা আমরা নিয়ে যাচ্ছি। ’

করোনাকালীন সময়ের কথা টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে যখন সব থেকে বেশি কষ্ট হয়েছিল তখন কিন্তু আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছিলাম। প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে যাতে ইন্ডাস্ট্রিগুলো চালু থাকে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিলাম। কৃষির জন্য ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ দিয়েছি। তারা যেন সার, বীজ সব ঠিক মতো পায় সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি। ’

দেশের মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান বেড়েছে তাই ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের গুণগত পণ্য নিশ্চিত করার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান। নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পণ্যের বাজার সৃষ্টি করার কথা জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি, ওই অঞ্চলে আমাদের যারা রাষ্ট্রদূত আছে, তাদের ডেকে ব্রিফ করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, প্রত্যেকটা দূতাবাস চেষ্টা করবে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা আছে তা জানাবে, সেই পণ্য আমরা আমাদের দেশে উৎপাদন করবো, রপ্তানি করবো। এভাবেই বাণিজ্য আমরা বৃদ্ধি করবো। ’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন; এসবের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী আজ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। নিজেদের মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা করছে। আমরা কিন্তু এখনও সে পর্যায়ে যাইনি। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। ’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ও শূন্য রিজার্ভ নিয়েও জাতির পিতা এই দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। জাতিসংঘ এই দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়েছিল। শুধু সেই মর্যাদায় দিয়ে যাননি তিনি, তার নেতৃত্বে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশের ওপরে গিয়েছিল। তারপরে সেই জায়গায় আমরা এখনও উঠতে পারিনি। তবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটাই হচ্ছে আমাদের অর্জন। ’

news24bd.tv/মামুন