এক জেলায় ৬২ ইটভাটার ৫৯টিই অবৈধ, ঝুঁকিতে পরিবেশ-আবাদি জমি

অবৈধ ইটভাটা

এক জেলায় ৬২ ইটভাটার ৫৯টিই অবৈধ, ঝুঁকিতে পরিবেশ-আবাদি জমি

অনলাইন প্রতিবেদক

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই শেরপুরে অবাধে চলছে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম। জেলার ৬২টি ইটভাটার মধ্যে ৫৯টিরই নেই বৈধ কোনো কাগজপত্র। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও আবাসিক এলাকা, আবাদি জমি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশেই চলছে এসব ইটভাটা। ভাটার কারণে আবাদি জমিসহ পরিবেশ দূষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললেও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।  

সরেজমিনে দেখা যায়, আবাদি জমির ভেতর গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটার চুল্লি।  শেরপুর পৌর শহরের মোবারকপুর এলাকাজুড়ে এই অবৈধ ইটভাটা দেখা যায়। ইটভাটা বিষাক্ত ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বায়ু, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

জেলা সদরের আবাসিক এলাকা ও কৃষি জমির ওপর স্থাপিত এসব ইটভাটার প্রায় সবগুলোই অবৈধ।

স্থানীয়রা জানান, কৃষি জমির মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরতা শক্তি। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। একদিকে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশপাশের মানুষগুলোর শ্বাসকষ্টসহ বাড়ছে নানা রোগ, অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ফসল ও গাছপালার।

শেরপুর জেলার ৬২টি ইটাভাটার ৫৯টিরই নেই হালনাগাদ লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বৈধ ছাড়পত্র। কোনো কাগজপত্র ছাড়াই আইনের তোয়াক্কা না করেই চলছে এসব ইটভাটা।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, শেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল মাহমুদের সঙ্গে। তারা জানান, অনেক ইটভাটা আইনের তোয়াক্কা না করে পরিচালনা করা হচ্ছে।  

শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার জানান, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।  

পরিবেশ ও জনজীবন রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের দাবি করেছে সচেতন মহল।

news24bd.tv/ইস্রাফিল