দেশ-বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে

সংগৃহীত ছবি

দেশ-বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে

ফেরদৌস আরেফিন

সংকটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়াতে ভারত থেকে আরও দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ। এজন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডে কয়লাভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে আদানি পাওয়ার।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই সে বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। যার প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে প্রায় ১৭ টাকা।

অন্যদিকে আদানির দাবি, প্রতিযোগিতামূলক দামেই সরবরাহ হবে বিদ্যুৎ।

পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ডে ১ হাজার ৬’শ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে আদানি পাওয়ার লিমিটেড। এতে বিনিয়োগ করতে হয়েছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭ সালে করা চুক্তি অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে কেন্দ্রটি।

৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি, ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে কয়লা পুরিয়ে সে বিদ্যুৎ যাবে বাংলাদেশে।

সম্প্রতি কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, সেখান থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, যা দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হবে। সংকটকালীন সময়ে এটা আমাদের বিরাট সাপোর্ট দেবে। কারণ আমাদের বিশেষ করে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াট এ বছরে বন্ধ হয়ে যাবে। এখান থেকে আমরা ১৪৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার নেবো। আশা করছি মার্চের মধ্যেই এখান থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিল সারদানা জানান, কেন্দ্রটি জ্বালানির কয়লা আনবে অন্যদেশ থেকে আমদানি করে। প্রতিযোগিতা মূলক দামে বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

কয়লা বিদ্যুতের দাম তুলনামূলক কম। ভারত থেকে নেয়া বিদ্যুতের যে দর ঠিক হয়েছে, তাতে যোগ আছে সঞ্চালন খরচও। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, কয়লা আমদানি খরচের ওপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত দাম সমন্বয় হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়েছে। তবে সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রচেষ্টা চলছে।

আন্তঃদেশীয় গ্রিডের মাধ্যমে ভারত থেকে এই বিদ্যুৎ নেবে বাংলাদেশ। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছাবে বগুড়া পর্যন্ত। এজন্য নির্মাণ করতে হয়েছে ২৪৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন । যার ৯৫ কিলোমিটার ভারতে এবং ১৫০ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পড়েছে।

এদিকে, এপ্রিলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট এসএস পাওয়ার। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এই প্ল্যান্টের কাজ প্রায় শেষের পথে।

কর্মকর্তারা জানান, শনিবার দুপুরে বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার কেন্দ্রে পিজিসিবির ব্যাক ফিড পাওয়ারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পর সফল হয়েছেন তারা। নির্মাণাধীন এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির প্রকৌশলীসহ এসএস পাওয়ারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/FA