‘ফোন হ্যাং’ থেকে মুক্তি মিলবে ৬ টিপসে 

প্রতীকী ছবি

‘ফোন হ্যাং’ থেকে মুক্তি মিলবে ৬ টিপসে 

অনলাইন ডেস্ক

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সবার হাতে হাতে নিত্য নতুন স্মার্টফোন। কিন্তু সাধের এই প্রিয় স্মার্টফোনটি যখন তখন হ্যাং বা সাময়িকভাবে অচল হয়ে যায়। যার ফলে প্রয়োজনের সময়ে অতীব গুরুত্বপুর্ণ কাজটি করা সম্ভব হয় না। পড়তে হয় ফোন নিয়ে ভোগান্তীতেও! মূলত স্মার্টফোনের প্রসেসর ও মেমোরির ওপর অধিক চাপ পড়লেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

তবে আপনি চাইলে কয়েকটি সহজ টিপসে অনুসরণ করে ফোন হ্যাং হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিই টিপসগুলো-

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ
কাজেও লাগে না বা দু-একবার মাত্র ব্যবহার হয়েছে, এমন অ্যাপ আনইনস্টল করে দিন। তারপরেও মোবাইলে এমন কয়েকটি অ্যাপ থেকে যায়, যা আনইনস্টল করা যায় না। তবে সেসব প্রি-ইনস্টল ইনবিল্ড অ্যাপকে আনইনস্টল করা না গেলেও ডিজেবল করা যায়।

তাতে মোবাইলের স্পেস বাঁচে। ফলে স্লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায় অনেকটাই।  

বন্ধ করে দিন গ্ল্যান্স লকস্ক্রিন
অনেক মোবাইলের লকস্ক্রিনের ওয়ালপেপারই নিজে থেকে বদলে যায় সময়ে-অসময়ে। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনও দেখা যায় সেই ওয়ালপেপারের সঙ্গে। সাম্প্রতিক বাজারে আসা মোবাইলগুলোকে এই গ্ল্যান্স লকস্ক্রিনের অপশন থাকে। এই গ্ল্যান্স সবসময়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, এবং প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি ও ডেটা ক্ষয় করতে থাকে। Settings অপশনে গিয়ে এই থার্ড পার্টি অ্যাপটিকে বন্ধ করে দিতে পারেন আপনি। এতে আপনার ফোনের স্পিড অনেকটাই বাড়বে।

অ্যাপের লাইট ভার্সন ব্যবহার করুন
সাধারণ ভাবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রম অ্যাপ বড় স্টোরেজ দখল করে থাকে। বিশেষত ৪জিবি ইন্টারনাল র‌্যাম বিশিষ্ট ফোনগুলোর ক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যা তৈরি করে বড় সাইজের অ্যাপগুলো। সেক্ষেত্র এই সব অ্যাপগুলো আনইনস্টল করে ব্যবহার করুন অ্যাঅ্যাপগুলিরর লাইট ভার্সন, যা আকারে অনেকটাই ছোট, তাতে বাঁচবে ডেটাও।

অ্যানিমেশন স্পিড নিয়ন্ত্রণ করুন 
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাবাউটঅপশনে যান, সেখানে গিয়ে বিল্ডার অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে গিয়ে উইন্ডোজ অ্যানিমেশনে ক্লিক করলে প্রতিটি অ্যানিমশন মোডের স্পিড কমিয়ে ০.৫এক্স করে দিন। অ্যানিমেশনের জন্য আপনার মোবাইলের স্পিড অনেক কমে যায়। তাই অ্যানিমেশন স্পিড কমালে আপনার মোবাইলের স্পিড বাড়বে।

ক্যাশে ক্লিন করা
স্মার্টফোনে বিদ্যমান বিভিন্ন অ্যাপের সুবাদে রোজ প্রচুর ক্যাশে ফাইল জমা হয়ে যায়। এই ফাইলগুলো ধীরে ধীরে জমা হয়ে ফোনের মেমোরি পূর্ণ হয়ে যায়। এর ফলে ফোনের পারফরম্যান্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এবং সেটি হ্যাং হতে থাকে। এই সমস্যা এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রতিদিন ফোনের ক্যাশ ক্লিয়ার করা। এতে ফোনের স্টোরেজ স্পেস অযথা নষ্ট হবে না, ফোনের প্রসেসরের ওপরেও চাপ কম পড়বে। ক্যাশ পরিস্কারের আরেকটি সুবিধা হলো আপনি ফোনের স্টোরেজও খালি পাবেন। আবার ফোনও স্পিড থাকবে।

স্মার্টফোনের ডিপ ক্লিনিং
হ্যাং হওয়া থেকে বাঁচতে প্রথমেই আপনাকে স্মার্টফোনটি ডিপ ক্লিন করতে হবে। তবে স্মার্টফোন হ্যাং করবে না। আসলে ডিপ ক্লিনিংয়ের ফলে স্মার্টফোনের অধিকাংশ অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে যায়। ফলস্বরূপ স্মার্টফোনের স্টোরেজ স্পেস খালি হয়ে যায়, এবং প্রসেসরও চাপমুক্ত হয়। ফলে ফোনটি অত্যন্ত সাবলীলভাবে কাজ করতে পারে। তাই ফোন হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যায়।  

সতর্কতা : ডিপ ক্লিনিং এর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ফোনের গুরুত্বপুর্ণ ডাটা ডিলিট হয়ে না যায়।

news24bd.tv/আলী