কিস্তিতে বিক্রি হচ্ছে বই

ফাইল ছবি

কিস্তিতে বিক্রি হচ্ছে বই

অনলাইন ডেস্ক

কিস্তিতে টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, গাড়ি, বাড়ির মতো দামি জিনিস বিক্রি হয় হরহামেশা। তাই বলে বইও বিক্রি হবে কিস্তিতে। অবাক লাগলেও এমনটাই দেখা যাচ্ছে মিসরে।  

মূলত দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে বাড়তে লাগাম ছাড়া হয়ে পড়েছে।

বাড়তি দ্রব্যমূল্যের কারণে দিশেহারা মিসরের সাধারণ মানুষ। খাদ্য পণ্য কিনতেও ব্যয় সংকোচের দিকে হেঁটেন সাধারণ মিসরীয়রা।

জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই মূল্যস্ফীতিতে আক্রান্ত মিসর। দেশটিতে দেখা দিয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কট।

গত এক বছরে দেশটির টাকার মান হ্রাস পেয়ে অর্ধেকে নেমেছে। যার ধাক্কায় কমেছে মিসরীয়দের খরচ করার সক্ষমতা। মূল্যস্ফীতির জন্য মিসরের সরকার দায়ী করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দাকে।

অর্থনৈতিক এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়ছে মিসরের প্রকাশনা শিল্পেও। বছরের ব্যবধানে কাগজের দাম বেড়েছে চার গুণ। তার সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে সংক্ষিপ্ত আকারে বই লিখতে বাধ্য হচ্ছেন লেখকরা। এতে পাঠকদের ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে মূল বই না কিনে ঝুঁকছেন নকল বই কেনায়। যদিও নকল বইগুলোর মান খুবই নিম্নমানের। বাধ্য হয়ে দেশটির প্রকাশকরা কিস্তিতে বই বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অভিনব হলেও কিস্তিতে বই বিক্রির ঘোষণায় মানুষের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে বলে আশা তাদের।

কিস্তিতে বই কিনলে টাকা পরিশোধের জন্য নয় মাস সময় পাবেন ক্রেতারা। এ সময় তাদের সুদ দিতে হবে দেড় শতাংশ হারে। কিস্তিতে বই বিক্রির বিষয়টি মিসরের কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

news24bd.tv/হারুন