বাধা উপেক্ষা করে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাব : মেয়র তাপস

সংগৃহীত ছবি

বাধা উপেক্ষা করে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাব : মেয়র তাপস

অনলাইন ডেস্ক

নগরবাসীকে যানজটমুক্ত সচল ঢাকা উপহার দিতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এজন্য স্বার্থান্বেষী মহলের বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। আজ বুধবার নগরীর খিলগাঁও এলাকায় 'খিলগাঁও সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের' নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘গণপরিবহনের নাজুক এবং বিশৃঙ্খলা অবস্থার পেছনে অনেক চক্র এবং স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে।

তারা অবশ্যই চাইবে না যে, এটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসুক। কিন্তু আমরা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছি। ’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‘যেখানে-সেখানে কাউন্টার এবং সেই কাউন্টার ঘিরে রাস্তার উপর গাড়ি রাখা এবং যানজট সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। এজন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন ছিল।

তাই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন করে পরিসর বৃদ্ধি করেছি। ’

তিনি বলেন, ‘সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাজ এই মার্চ মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করতে পারব। এরপর টার্মিনালের বাইরে যত্রতত্র কাউন্টারের প্রয়োজন হবে না। আগামী এপ্রিল মাস থেকেই যেন সব বাস কাউন্টার টার্মিনালের ভেতর চলে আসে সেই ব্যবস্থা করেছি। আর বাসগুলো সড়কে না রেখে টার্মিনাল ব্যবহার করবে। তাই টার্মিনালের ভেতর ডিপোর ব্যবস্থা করেছি। এতে ঢাকা শহরে শৃঙ্খলা আসবে, যানজট থাকবে না। যানজটমুক্ত একটি সচল ঢাকা উপহার দিতে চাই। ’

ঢাকা নগর পরিবহন ক্রমান্বয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে বাস রোড রেশনালাইজেশন কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির আওতায় ঢাকা নগর পরিবহন সফলতার সঙ্গে চালু করেছি। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীকে ঢাকা নগর পরিবহন সেবা দিচ্ছে। আরও তিনটি যাত্রাপথ চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সুতরাং নগর পরিবহন এখন বাস্তবতা এবং সফলতার দিকে এগিয়ে চলছে। ’

এরপর নৌ পথে মান্ডা খাল, বঙ্গবাজার এলাকায় আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মেয়র। ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ তলাবিশিষ্ট খিলগাঁও সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের নির্মাণ আগামী বছরের ২৬ এপ্রিলে সমাপ্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ কাঠা জমির উপর এই সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ভবনের নিচতলায় কার পার্কিং, প্রথম তলায় কাউন্সিলর অফিস ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, দ্বিতীয় তলায় ব্যায়ামাগার, বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য কক্ষ ও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ক্লাব, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

news24bd.tv/আলী