চুলের যত্নে হেনা, কী কী সুফল পাওয়া যায়?

প্রতীকী ছবি

চুলের যত্নে হেনা, কী কী সুফল পাওয়া যায়?

শ্যাম্পু করা চুলের যত্নের একমাত্র উপায় নয়। চুল ভালো রাখতে হেনার ব্যবহারও জরুরি। কী কী সুফল পাওয়া যায় হেনা করলে? চলুন নিম্নে জেনে নেই- 

হেয়ার স্পেশালিস্ট বা চুল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি দিন শ্যাম্পু করা মানেই চুলের যত্ন নেওয়া নয়। চুল ভাল রাখতে সিরামও ব্যবহার করে থাকেন কেউ কেউ।

তাতে সাময়িক ভাবে চুল ভাল থাকলেও চুলের যত্নের শেষ কথা নয়। অনেকেই বুঝতে পারেন না, আসলে চুলের যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায় কোনটি। তবে তারা বলছেন, চুল ভাল রাখতে সপ্তাহে এক দিন হলেও হেনা করা উচিত।  

চুলের গোড়া শক্ত করতে

চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল অনেকেই।

মাথার চেয়ে মাটিতে চুল থাকছে বেশি। আসলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি হ্রাস পেলে এমন সমস্যায় ভুগতে হয়। বাইরে থেকে চুল চকচকে, মসৃণ হলেও চুলের গোড়া মজবুত আছে কি না, সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত এক দিন হেনা করলে চুলের পুষ্টি ফিরে আসবে। চুল ভিতর থেকে মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। চুল পড়ার পরিমাণও ধীরে ধীরে কমবে।

খুশকি প্রতিরোধে

অতিরিক্ত চুল ঝরার আরও একটি কারণ হল খুশকি। চুল পড়ার সমস্যা আটকাতে তাই সবার আগে খুশকি কমানো প্রয়োজন। খুশকি কমানোর অন্যতম একটি সমাধান হতে পারে হেনা। প্রতিদিন হেনা করা সম্ভব নয়। করা ঠিকও নয়। ১৫ দিনে অন্তত দু’বার করে হেনা করলে ভাল। শুধু খুশকি নয়, চুলের অন্যান্য সমস্যার অস্ত্র হতে পারে হেনা।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে

রোজ ধুলো-দূষণে চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায়। চুল কোমল মসৃণ করতে আমরা কত কিছুই না করি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার-চেষ্টার কোনও খামতি রাখেন না কেউই। এতে হয়তো প্রাথমিক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তা ছাড়া রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত এই সব প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুল সুন্দর ও কোমল রাখতে তাই হেনা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চুল বিশেষজ্ঞরা। ঘরোয়া বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই হেনা তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।  

news24bd.tv/রিমু