বায়ুদূষণে নাকাল দেশ, নড়েচড়ে বসেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়

সংগৃহীত ছবি

বায়ুদূষণে নাকাল দেশ, নড়েচড়ে বসেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়

শাহনাজ ইয়াসমিন

বায়ুদূষণ কমাতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এবার সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি প্রকল্পের সব কাজ আধুনিক পদ্ধতির ইট দিয়ে নির্মাণ করতে হবে। পরিবেশবিদরা বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর না করা গেলে দূষণ ভয়াবহ হবে।  

বিশ্বের বায়ুর মান পর্বেক্ষণে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউএয়ার’ এর প্রতিবেদনে এবারও দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে এসেছিল বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর সুক্ষ্ম বস্তুকনা পিএম ২.৫ এর মাত্রা রয়েছে ৭৮ এর উপরে। যেটা থাকার কথা ১০ এর কম।  

পরপর তিন বছর বায়ুদূষণের তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষ অবস্থান নিয়ে এবার টনক নড়েছে সরকারের। এ অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে দ্রুত এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের নতুন প্রকল্পে কংক্রিট ব্লক ইট ব্যবহারের নির্শনা দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

৪৫ বছরের মাহাতাব প্রায় ২৫ বছর ধরেই ইটভাটায় কাজ করে জীবিকা চালান। দিনের প্রায় পুরোটা সময়ই কাটে এই কাজ করে। এখানকার কালো ধোয়া তার শরীরে কত রোগ হতে পারে সেটা নিয়ে হয়তো তার ভাববারই সময় নেই।

পবিবেশবিদরা বলছেন, কাঠ পোড়ানো ইটভাটার কালো ধোয়া মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ; যা এসব জায়গায় কাজ করা অনেকেই জানেন না। বাতাসের এই সুক্ষ্ম বস্তুকনায় হাপানি, ক্যানসার, হৃদরোগ ও ফুসফুসসহ নানা ধরনের রোগ বাসা বাধে মানুষের শরীরে। তাই সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তারা।

এদিকে পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০২৫ সালের পর দেশের কোনো সরকারি স্থাপনায় পোড়ানো ইট ব্যবহার করা হবে না। দ্রুত এসব ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধীরেধীরে সব প্রকল্পেই আধুনিক পদ্ধতির ইট ব্যবহার করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশদূষণের আরেকটি কারণ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্যও পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্শনা দেওয়া হয়েছে।

news24bd.tv/আইএএম