ধ্বংস্তুপের পাশে স্বজনদের জন্য অপেক্ষা, কান্না!

সংগৃহীত ছবি

ধ্বংস্তুপের পাশে স্বজনদের জন্য অপেক্ষা, কান্না!

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার আজ বুধবার (৮ মার্চ) সকালেও কয়েক ব্যক্তিকে স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।  

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে  বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৬টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে ধ্বংস্তুপে এখনো কেউ কেউ আটকা থাকতে পারেন।
 

আরও পড়ুন...বিস্ফোরণে ধসে পড়া ভবনে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু

সকাল থেকে নিখোঁজ স্বজনের জন্য ভবনটির পাশে উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. আরিফ। তিনি বলেন, আমার বন্ধু মোমিন উদ্দিন সুমন এই ভবনের নীচতলায় একটি অফিসে কাজ করতো। গতকাল এই ভবনে বিস্ফোরণ হওয়ার খবর শুনেই ওকে কল করতে থাকি। মোবাইলে কল ঢুকেছে কিন্তু রিসিভ করেনি।

গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত মোবাইলে কল বেজেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ৯টার পর আর কল ঢোকেনি। উদ্ধারকারীরা ওর মোবাইলটা পেয়েছে, কিন্তু আমার বন্ধুকে এখনো পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন... গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ১৬ মরদেহ বুঝে পেলেন স্বজনরা 

সকাল সাড়ে আটটার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিমর্ষ হয়ে বসে আছেন আবদুল মান্নান। তাঁর মেয়ের স্বামী মেহেদি হাসান (স্বপন) এখানে একটি দোকানে ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটু বাদে সেখানে এলেন স্বপনের ভাই সোহাগ। তাঁকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন মান্নান। সোহাগ কাল থেকে হাসপাতালে হন্যে হয়ে ভাইকে খুঁজেছেন। কিন্তু পাননি।

সোহাগ বলছিলেন, ‘উদ্ধারকাজ দ্রুত শুরু হওয়া দরকার। আমরা ভাইরে খুঁজে পেতে চাই। ’ গতকাল রাতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভবনের কলাম ধসে পড়ায় ভেতরে ঢোকা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কলাম সরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করা হলে তাতে ভবনের বাকি অংশটুকু ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে এই ঝুঁকি কমিয়ে আজ ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করা হবে।

আরও পড়ুন...উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে কি না অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা    

বুধবার সকালে ঢাকা জেলা প্রসাশনের কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস জানান, ১৬ জনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৪ জন। এখন পর্যন্ত ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন, দুই জন ভবনের কর্মচারী, একজন বস হেলপর ও একজন পথচারী। নিখোঁজদের স্বজনরা মেডিকেলে এসে নাম লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। এছাড়া, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ১১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন...

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি

ভবনের বেজমেন্টে বিস্ফোরণ, বিস্ফোরকের আলামত মেলেনি: সেনাবাহিনী

news24bd.tv/আইএএম