খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে আরও ৬ মাস

সংগৃহীত ছবি

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে আরও ৬ মাস

শাহনাজ ইয়াসমিন

আগের শার্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার তথ্য সঠিক নয় বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলির নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মান, ডেনমার্ক, ইতালি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  

এদিকে, শরীয়তপুরের এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন আইন মন্ত্রণালয় থেকে আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আবেদনটি পুনরায় পাঠানো হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এরপর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্র্যাস্ট-এই দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার এই জামিনে মুক্তিতে দুইটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল।

এক. তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না। দুই. বাসায় থেকে দেশের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে তাঁকে। এই দুই শর্তেই দুই বছরে ছয় মাস করে ছয়বার মুক্তির মেয়াদ বেড়েছে তাঁর। তবে, প্রতিবারই পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্থায়ী মুক্তি এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়।

শেষবার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ যে ছয়মাস বাড়ানো হয়েছিল সেটার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৫ মার্চ। গত ৬ মার্চ আবারও তার পরিবার খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি ৭ মার্চ  আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। সেই আবেদন এখনও আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আগে যেসব শর্ত ছিল তার জামিনে মুক্তির জন্য এবারও সেসব শর্তই থাকবে।

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার কয়েকটি গণমাধ্যমের এমন সংবাদ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এই তথ্য সঠিক নয়। আবেদনের ওপর মতামত দেওয়ার এখতিয়ার আইন মন্ত্রণালয়ের।

news24bd.tv/আইএএম