যেভাবে উদ্ধার হলো ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডাকাতির ৯ কোটি টাকা 

সংগৃহীত ছবি

যেভাবে উদ্ধার হলো ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডাকাতির ৯ কোটি টাকা 

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাড়ি থেকে ছিনতাই করা সাড়ে ১১ কোটি টাকার মধ্যে ৯ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ডিএমপির ডিবিপ্রধান এসপি হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।  

ঘটনার পরপরই ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধারে অভিযানে নামে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খিলক্ষেতের অভিজাত লা মেরিডিয়ান হোটেলের আশপাশে অভিযান চালিয়ে ডিবি সাত ডাকাতকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ট্রাংক উদ্ধার করা হয়। সেখানেই পাওয়া যায় প্রায় ৯ কোটি টাকা।

ডিবি জানায়, তাঁরা সিসিটিভির (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলের সাতজনের অবস্থান নিশ্চিত হন।

এর পরপরই অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার ও তিনটি ট্রাংক উদ্ধার করে। ওই ট্রাংকগুলো থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশের ঢাকা উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার বদরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকাতদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। তাদের একজন নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে। ডাকাতেরা সিকিউরিটি কোম্পানির কর্মীদের চর-থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।  

পুলিশ জানায়, মিরপুর ডিওএইচএসের সিকিউরিটি কোম্পানি মানি প্ল্যান্টের গাড়িতে করে সোয়া ১১ কোটি টাকা নিয়ে সাভারের ইপিজেডে ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের বুথে নিয়ে যাচ্ছিল। সকাল ৭টার দিকে আড়াআড়ি করে মাইক্রোবাস দাঁড় করিয়ে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ–সংলগ্ন ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের টাকা বহন করা গাড়িটির গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ১০–১২ জন সশস্ত্র ডাকাত নেমে টাকা বহন করা গাড়ির দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে সোয়া ১১ কোটি টাকা ভর্তি ট্রাংক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ডাকাতদের গাড়িটির নম্বরপ্লেট পাওয়া গেছে। ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও নাম-ঠিকানা জানা গেছে। এখন বাকি ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে অপর ট্রাংকটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে গাড়িটি উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।  

news24bd.tv/আইএএম