মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ১১৭ রানেই গুটিয়ে গেলো ইংল্যান্ড

সংগৃহীত ছবি

মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ১১৭ রানেই গুটিয়ে গেলো ইংল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক

মিরপুরের উইকেটের কথা ভেবেই মেহেদী হাসান মিরাজকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে। সেই সুযোগ কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন এই অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ইংলিশরা হয়েছে কুপোকাত। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ১১৭ রানেই গুটিয়ে গেছে সফরকারীদের ইনিংস।

বল হাতে একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১২ রান খরচায় চার ইংলিশ ব্যাটারকে ফেরান তিনি।

মিরপুরে ফের টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল দারুণ। পাওয়ারপ্লেতে শুধু দাবিদ মালানের উইকেট হারিয়েই স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা।

বিপত্তির শুরু এরপর থেকেই। পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই খেই হারায় ইংল্যান্ড। পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।

ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে জস বাটলারের জায়গায় ইংল্যান্ডের হয়ে আজ ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছিলেন দাবিদ মালান। তবে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টের এই পরিবর্তন কাজে আসেনি। শুরুতেই ফিরে যান মালান (৫)। তাকে ফেরান তাসকিন।  সপ্তম ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েই বিপদজনক হয়ে ওঠা ফিলিপ সল্টকে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার স্পিনের অতিরিক্ত বাউন্সে বোকা বোনে যান সল্ট। সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। ১৯ বলে ২৫ রান করেন এই ইংলিশ ওপেনার।

এরপর উইকেটে আসা জস বাটলারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান হাসান মাহমুদ। ৪ রান আসে ইংলিশ ওপেনারের ব্যাট থেকে।  পরের ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ-মিড উইকেটে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন মঈন আলী। ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার।  

টানা তিন ওভারে উইকেট দেওয়ার পর মাঝের ছয় ওভারে দলকে কোনো বিপদে পড়তে দেননি বেন ডাকেট ও স্যাম কারান। তবে মেহেদী মিরাজ বোলিংয়ে ফিরতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৫তম ওভারে স্যাম কারান (১২) ও ক্রিস ওকসকে (০) স্টাম্পিংয়ের শিকার বানান তিনি। নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে ক্রিস জর্ডানকেও (৩) ফিরিয়ে দেন মিরাজ।

শেষ ওভারে বাকি ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। মুস্তাফিজুর রহমানের করা ওই ওভারের প্রথম বলে ফেরেন ইংল্যান্ডের একমাত্র ভরসা বেন ডাকেট (২৮)। এরপর রেহান আহমেদ (১১) ও জফরা আর্চার হন লিটন-মুস্তাফিজের রানআউটের শিকার।

news24bd.tv/SHS