শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির অধীনে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রস্তাব আহবান করেছে সরকার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, উন্নত প্রযুক্তির আহরণ, উদ্ভাবন এবং প্রয়োগের বিস্তৃতি সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানী গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব-সাইটে সংরক্ষিত নির্ধারিত ফরমে গবেষণা প্রস্তাব আহবান করা যাচ্ছে।
যেসব বিষয়ে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে-
১. গাণিতিক বিজ্ঞান
২. জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞান
৩. ভৌত বিজ্ঞান
8. সামাজিক বিজ্ঞান
৫. আইসিটি
৬. মেরিন সায়েন্স
৭. এসডিজি এবং ৮ম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক গবেষণা
৮. প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
৯. বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি
১০. ব্যবসায় শিক্ষা; এবং
১১. বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি সাধারণ, বিশেষায়িত, কারিগরি, কৃষি এবং চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন স্নাতকোত্তর কলেজসমূহের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শিক্ষক/গবেষক উচ্চতর গবেষণা সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত আছেন অথবা গবেষণা কর্ম করতে আগ্রহী তারাও আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে মুখ্য গবেষকের টেলিফোন নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, ফ্যাক্স নম্বর (যদি থাকে) আবশ্যিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, গবেষণার বিষয়বস্তু দেশে প্রয়োগ উপযোগী ও সময়ের প্রেক্ষাপটে জাতীয় চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে; গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে সাফল্য/নির্ভরযোগ্যতা/আশাব্যঞ্জক বুৎপত্তি (Achievement) অর্জন করেছেন এমন আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে; এই কর্মসূচির আওতায় আবেদনকারীর কোন চলমান গবেষণা থাকতে পারবে না।
আবেদনপত্র আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে PCN (Project concept note) ফরম পূরণ করে অনলাইনে http://202.72.235.210/gare লিংক এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত ফরম ব্যতীত ও অসম্পূর্ণ কোন আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। গবেষকগণ সারা বছর ধরে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে কেবলমাত্র ৩০ জুনের মধ্যে প্রাপ্ত আবেদনসমূহ ২০২৩-২০১৪ অর্থবছরের জন্য বিবেচ্য হবে। আবেদনকারীকে গবেষণা প্রস্তাবের বিষয়বস্তুর গুরুত্ব, সাফল্য-সম্ভাবনা, গবেষণার আবশ্যকীয় বিষয়াদি ও গবেষণা খাতে ব্যয়ের যৌক্তিকতা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক বাছাই/জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সম্মুখে প্রয়োজনে যথাসময়ে উপস্থাপন করতে হবে।
