না ফেরার দেশে যশোরের সুকুমার দাস

না ফেরার দেশে যশোরের সুকুমার দাস

যশোর প্রতিনিধি:

না ফেরার দেশে চলে গেলেন যশোরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি পুনশ্চ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার দাস। মাত্র ৬৬ বছর বয়সে বুধবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  

এদিন রাত নয়টার দিকে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল তাকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯৫৭ সালের ২৭ শে নভেম্বর (১৩৬৪ সনের ১৩ অগ্রহায়ণ) শ্রমিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা বিনয় কৃষ্ণ দাস এবং মা রেনু বালা দাস। সুকুমার দাস চুড়িপট্টি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।  

১৯৭৩ সালে সম্মিলনী ইন্সটিটিউশন থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন।

১৯৭৫ এ উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৭৯ তে সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স আর ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন।

১৯৭৩ সালে যশোর উদীচীর সাথে যুক্ত হন এবং ২০১১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত একাধিকবার এ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ সালের শেষ দিকে তিনি গড়ে তোলেন আরেক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুনশ্চ। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন।  

যশোরে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলনী পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পদ্ধতিগত সঙ্গীত শিক্ষার বেসরকারি সঙ্গীত শিক্ষা বোর্ড ধ্রুব পরিষদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরে দীর্ঘ ২৮ বছর তিনি মূল দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় জোটের সদস্যসহ যশোরেরর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং জোটের খুলনা বিভাগের দায়িত্বরত ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে টিআইবি যশোর সনাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। একইসাথে যশোর শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

যশোরের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের প্রতিথযশা ব্যক্তিত্ব সবার প্রিয় মুখ যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও পুনশ্চ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার দাসের মরদেহে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে তাঁর মরদেহ যশোর টাউনহল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে আনা হয়। এরপর ফুল আর হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত বিনম্র শ্রদ্ধা জানান যশোরের সর্বস্তরের মানুষ।

সুকুমার দাসের মরদেহে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্য্য এমপি, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলসহ সামাজিক রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ। পরে নীলগঞ্জ শ্মশানে তার শেষ কৃত্ত দাহ করা হয়।

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক