যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, ৫০ লাখ ডলার জরিমানা

সংগৃহীত ছবি

যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, ৫০ লাখ ডলার জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর লেখিকা ই জিন ক্যারলের আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। তবে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৯ মে) আদালতের গঠন করা জুরির সদস্যরা এ রায় দিয়েছেন।

আদালতের রায়ের পর ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করবেন।

রায়ের সময় ট্রাম্প আদালতে হাজির ছিলেন না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশকে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যৌন নিপীড়ন ও হেনস্তার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই লেখিকা প্রায় ৫০ লাখ ডলার পাবেন। তবে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে হবে না।

নিউইয়র্কে কিছুদিন আগে একটি আইন পাস হয়েছে, সে অনুযায়ী ভুক্তভোগী কেউ চাইলে যৌন নিপীড়নের ঘটনার বহু বছর পরও অভিযোগ আনতে পারেন।

এ আইনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার পেলেন লেখিকা ই জিন ক্যারল। ছয়জন পুরুষ ও তিনজন নারীর সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ডের সামনে একটি ভিডিও দেখানো হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। একইসঙ্গে মামলার সব খরচ ও আইনি ফি ট্রাম্পকে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ এনে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস। পরে সেই ধারাবাহিক প্রতিবেদন পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল, সন্দেহজনক কর স্কিমের মাধ্যমে লাখ লাখ ডলারের মালিক হয়েছেন ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পের দাবি ছিল, তিনি বৈধভাবেই ধনকুবের হয়েছেন। ২০১৮ সালে এ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত শুরু করে নিউইয়র্ক টাইমস।

সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ২০২১ সালে ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ‘কপট চক্রান্তের’ অভিযোগ এনে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানহানি মামলা করেন। মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তার ভাগ্নি মেরি ট্রাম্পকে নিউইয়র্ক টাইমস প্রভাবিত করেছিল এবং ট্রাম্পের অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে কর সংক্রান্ত নথি সরিয়ে নিতে প্ররোচিত করেছিল।

গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিচার কার্যক্রম শেষে সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্ট। নিউ ইয়র্কের আদালত সংবাদপত্র ও সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিলেও অভিযোগ থেকে পুরোপুরি রেহাই পাননি মেরি ট্রাম্প।

news24bd.tv/SHS