হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি

সংগৃহীত ছবি

হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি

অনলাইন ডেস্ক

রংপুরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গাছ উপড়ে পড়াসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের তীব্র গতিবেগে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১৫ মে) রাত সোয়া দশটার পর হঠাৎ ঘনকালো মেঘে ভর করে হানা দিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। রংপুর মহানগরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়।

এতে পীরগাছার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়াসহ ভেঙে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। আচমকা ঝড়ের তীব্র গতিবেগে বিভিন্ন স্থানে ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার।

মঙ্গলবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পীরগাছা ও কাউনিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝড়ে আহত শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ঝড়ের কারণে ভেঙে পড়েছে অনেকের মাথা গোজার ঠাঁই। রাত থেকেই অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।  

অন্নদানগর ইউনিয়নের সাতদরগা এলাকার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, রাতে হঠাৎ ঘনকালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। এরপর শুরু হয় তীব্রগতির বাতাস, সাথে বৃষ্টি। ঝড়ে বিভিন্ন কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতিসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়ন, ছাওলা ইউনিয়ন, অন্নদানগর ইউনিয়ন ও পারুল ইউনিয়ন, কাউনিয়া সদর উপজেলাসহ রংপুর মহানগরের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের আচমকা তাণ্ডবে কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি ঝড়ে আম ও লিচু চাষিদের ক্ষতি হয়েছে।

তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ বলেন, ঝড় থেমে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখছি। প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। অনেকেই আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে তালিকা করে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।

পীরগাছা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন জানান, স্বল্প সময়ের শক্তিশালী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

news24bd.tv/আলী