খুলনায় বিএনপির ১৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩

সংগৃহীত ছবি

খুলনায় বিএনপির ১৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ১৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়েছে। খুলনা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২-১৩শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, সাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি, পুলিশের দায়িত্ব-কর্তব্যে বাধা প্রদান, পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনকালে জখম, ককটেল বিস্ফোরণ, নাশকতা করার অভিযোগে শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোহেল রানা (২০), গাজী সালাউদ্দীন (৪২), মো. আতাউর রহমান (৪৮), সেকেন্দার শেখ (৬০), শাইখুল মোল্যা (৩৪), মো. ওয়াহিদ শেখ (৩২), মো. রাসেল (২৪), রাব্বি চৌধুরী (২৯), মাহবুব গাজী (২৬), মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), মো. রাজু শেখ (৪১), মো. আলিফ মিলন (৩১) ও মো. রাসেল (২৭)।

জানা যায়, শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তা দখল করে সমাবেশ এবং এতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সরকারের পদত্যাগ ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করেছিলাম। হঠাৎ করে সমাবেশ পণ্ড করতে টিয়ারশেল ও গুলি করে পুলিশ। আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা কেন আসবে। তিনি বলেন, আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী জখম হয়েছেন। সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জনগনের মুখোমুখি করাচ্ছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তা বন্ধ করে তারা বক্তব্য দিতে শুরু করলে আমরা তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করি। আমরা সেখান থেকে কিছুটা পেছনে সরে গেলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা বাধ্য হয়ে টিয়ার শেল এবং গ্যাসগান নিক্ষেপ করি।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক