এক প্রেমিকের ছুরিতে অন্য প্রেমিকের মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

এক প্রেমিকের ছুরিতে অন্য প্রেমিকের মৃত্যু

নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রেমিকার টিকটক আইডি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রেমিক শরিফ মিয়ার (২১) মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক প্রেমিক শাকিল মিয়া (১৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কবিরাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত শাকিল উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে। আর নিহত শরিফ চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, হামলার ঘটনার পর নিহতের বাবা মহিউদ্দিন বাদী হয়ে শাকিলকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে। পরে শরিফের মৃত্যুতে সেই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

ঘটনার পর থেকেই শাকিলকে গ্রেপ্তারে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান পরিচালনা শুরু করে। পরে সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় কবিরাবাজার এলাকায় তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার দেখানো জায়গা বসতবাড়ির পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। আর বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, মাধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শরিফের। শরিফ প্রবাসে চলে যাওয়ার পর শাকিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় মেয়েটি। পরে এ সম্পর্কেও বিষয়টি জানতে পেরে শরীফ দেশে চলে আসে। পরে প্রেমিকাকে বুঝিয়ে তারা সম্পর্কে জড়ায়। এদিকে শাকিল তার প্রেমিকার টিকটক আইডির পাসওয়ার্ড জানত। শাকিল প্রেমিকার টিকটক আইডিতে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ভিডিও আপলোড দিত। এ নিয়ে প্রেমিক শাকিল ও প্রবাসফেরত প্রেমিক শরিফের মাঝে দ্বন্দ্ব বাধে।

শরিফ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে শাকিলকে টিকটক আইডিতে আপত্তিকর ভিডিও না ছাড়তে নিষেধ করে ও আইডির পাসওয়ার্ড চায়। শাকিল তা দিতে অস্বীকার করে এবং ছুরি দিয়ে শরিফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। শরিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন শরিফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থায় অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।

news24bd.tv/aa