অফিসে ঢুকে প্রেমিককে টানতে টানতে মন্দিরে নিয়ে গেল প্রেমিকা

সংগৃহীত ছবি

অফিসে ঢুকে প্রেমিককে টানতে টানতে মন্দিরে নিয়ে গেল প্রেমিকা

অনলাইন ডেস্ক

অফিসের ভিতরে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকেছিলেন এক তরুণী। এক যুবকের সামনে গিয়ে হাজির হন। তরুণীকে দেখেই থতমত খেয়ে‌ গিয়েছিলেন যুবক। কিছু বলে ওঠার আগেই তার কলার ধরে টানতে টানতে অফিসের বাইরে নিয়ে এলেন তরুণী।

এই অবস্থা দেখে অফিসের অন্য কর্মীরা তো অবাক! কী হচ্ছে ব্যাপারটা তা দেখার জন্য বেরিয়ে আসেন।

ততক্ষণে রণমূর্তি ধারণ করেছিলেন ওই তরুণী। যুবকের কলার ধরে ঝাঁঝালো গলায় বলে উঠলেন, “আমাকে বিয়ে করবে কি না বলো? বিয়ে না করলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব। ” এই কথোপকথনের মধ্যে বিষয়টি তখন ওই যুবকের সহকর্মীদের কাছে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

যুবক কিছু বলার চেষ্টা করতেই আবার ঝাঁঝালো গলায় তরুণী বলে ওঠেন, “আমাকে বিয়ে করতেই হবে। ” তারপরই যে ভাবে অফিস থেকে কলার ধরে যুবককে টেনে বার করেছিলেন, ঠিক সেই ভাবেই কলার ধরে তাকে মন্দিরে নিয়ে যান তরুণী।

ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুরের মধুসূদনপুর থানা এলাকার ভাতোড়িয়া গ্রামের। যুবকের নাম রোহিত কুমার। আর ওই তরুণী নাম কারিশ্মা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কারিশ্মা যখন বিয়ে করার জন্য রোহিতকে চাপ দেওয়া শুরু করেন, তার সিঁথিতে রোহিত সিঁদুর পরিয়ে দেন বলে দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু সেই বিয়ে রোহিতের বাড়ির লোক মানতে চাননি। অভিযোগ, করিশ্মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন তারা। এরপরই রোহিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন করিশ্মা।

সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রোহিত। বেশ কয়েক মাস আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি। একটি জায়গায় কাজেও ঢোকেন। অভিযোগ, রোহিত জামিনে মুক্তি পেতেই আবার করিশ্মা তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু রোহিত তাতে রাজি হচ্ছিলেন না।

এরপরই রোহিতের অফিসে যান কারিশ্মা। কলার ধরে অফিস থেকে টেনে বার করে বুদ্ধনাথ মন্দিরে নিয়ে যান। তারপর হুঁশিয়ারি দেন, তাকে যদি রোহিত বিয়ে না করেন, তা হলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। এই খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই তারা মন্দিরে হাজির হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোহিত এবং করিশ্মাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়া হয়। দু’জনের পরিবারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ।

সূত্র: আনন্দবাজার

news24bd.tv/aa