কয়লা সংকটে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখান থেকে পাওয়া ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আর যুক্ত হবে না জাতীয় গ্রিডে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বাড়তে পারে লোডশেডিং। যদিও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থায় এই ঘাটতি পূরণ করবেন তারা।
এদিকে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানালেন, কয়লা আসলে অন্তত ২৫ দিন পর আবার চালু হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।ডলার সংকট আর কয়লার দাম দিতে না পারায় সাময়িকভাবে বন্ধ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি পায়রা। কয়লা না থাকায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুই ইউনিটের একটি বন্ধ হয়ে গেছে গত বৃহস্পতিবার।
হিসাব বলছে, পূর্ণ সক্ষমতায় চালাতে এখানে কয়লার প্রয়োজন প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন।
মূলত সময়মতো কয়লার বিল পরিশোধ না করার কারণে এমনটা হয়েছে। অবশ্য পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলছেন, কয়লা কেনার জন্য ডলার সংগ্রহ করেছেন তারা।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক জানালেন, পায়রার বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম। এটি বন্ধ হলে লোডশেডিং না করতে চাইলে বিকল্প জ্বালানি দিয়ে উৎপাদন করতে হবে ১৩২০ মেগাওয়াট। এতে বেড়ে যাবে জ্বালানি ব্যয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন ১২ থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।