দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৩ সালে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সাফজয়ী সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন রজনী কান্ত বর্মণ। এর আগ ১৯৯৯ সালের সাফ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ, ওই দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে দাপটের সঙ্গে ৫৩টি ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই ডিফেন্ডার।
তবে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের হুগলি জেলায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন রজনীকান্ত। এই ঘটনায় স্ত্রীকে হারিয়ে দেশে ফিরে গাজীপুরের একটি ভঙ্গুর বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। বর্তমানে বেশ অসহায় এবং অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
এদিকে দেশের ক্রীড়াঙ্গণে নিজে থেকেই পৃষ্ঠপোষকতা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৩১ মে) রজনীর সহায়তার আবেদন নিয়ে কাজ করা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল গাফফার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রজনীকে ৩০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র এবং বাড়ি নির্মাণে সহায়তা করবেন। গাজীপুরের ডিসিকে রজনীর বাড়ি নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিতে বলা হবে'।
রজনী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চান। আবেদন পেয়ে রজনীকে ফোন করে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রজনী ছাড়াও আরও কয়েকজন ক্রীড়াবিদ প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পাচ্ছেন বলে জানান আব্দুল গাফফার। তার ভাষ্যমতে, ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার কাজী আনোয়ার ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং একটি ফ্ল্যাট, সাইক্লিস্ট শিলাকে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও নগদ এক লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ করেছেন’।
প্রধানমন্ত্রীর এই বরাদ্দ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এই সহায়তাগুলোর ব্যাপারে মন্ত্রীও অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। আমার চেষ্টা থাকবে রজনী, আনোয়ার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে যেন গ্রহণ করতে পারে’।
news24bd.tv/কেআই