প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা

অভিযুক্ত কাজল মিয়া (২১) ও মাসুদ রানা (২০)

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই মেয়েকে ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে গেছে ২ বখাটে যুবক। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে পালিয়ে যাওয়া ওই দুই বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে মেয়েটির দাদী রহিমা খাতুন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে উপজেলার তিলাই ইউনিয়নে, ধামেরহাট গ্রামের মোঃ জহির উদ্দিনের বখাটে পুত্র কাজল মিয়া (২১)।

সে ওই ছাত্রীকে স্কুল যাতায়াতের সময় গত কয়েকদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। গত সোমবার (০৫ জুন) বিকালের দিকে ওই বখাটে যুবক কাজল মিয়া ও উত্তরছাট গোপালপুর গ্রামের মনজুর আলমের পুত্র মাসুদ রানা (২০) সহ তাদের সাথে থাকা আরো কয়েকজন যুবক মিলে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ও দাদীকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে আসে।

ওই মেয়ে জানায়, মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় বখাটে যুবক কাজল ও মাসুদ রানা তার পথ রোধ করে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য চাপ দেয়। সে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাজল তার মুখ চেপে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সহযোগী মাসুদ রানা প্যান্টের পকেট থেকে একটি চাকু বের করে তাকে এলোপাথারী আঘাত করতে থাকে । এ সময় তার চিৎকারে স্হানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে, দুই বখাটে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।  

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাফেল রানা বলেন, মেয়েটি চিৎকার করে দৌড়ে এসে তার সামনে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পাশের বাসায় নিয়ে মেয়েটির প্রাথমিক সেবা যত্ন করে করে প্রধান শিক্ষককে খবর দেই।

পরে ছুরির আঘাতে মেয়েটির দুই হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ায় আহত ওই ছাত্রীকে ওই রাতেই ভুরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (০৬ জুন)  রাতেই স্কুলছাত্রীর দাদী রহিমা খাতুন ভুরুঙ্গামারী থানায় উক্ত দুই বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক