আটলান্টিকের যে ভয়ংকর এলাকায় চলছে সাবমেরিনটির অনুসন্ধান

সংগৃহীত ছবি

আটলান্টিকের যে ভয়ংকর এলাকায় চলছে সাবমেরিনটির অনুসন্ধান

অনলাইন ডেস্ক

আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনটির সন্ধান এখনো মেলেনি। সময় যত গড়াচ্ছে, সাবমেরিন ও এর ভেতরে থাকা পর্যটকদের জীবিত উদ্ধার নিয়ে শঙ্কা তত বাড়ছে। বর্তমানে অভিযানের আওতা আরও বাড়িয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন দল। কথা হলো, ঠিক কতটুকু গভীরে সাবমেরিনটি খুঁজছেন উদ্ধারকর্মীরা?

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা সাগরের তলদেশের প্রায় চার কিলোমিটার গভীর এলাকায় নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানকে খুঁজছেন।

যে অংশে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি এমনই বিরূপ ও ভয়াবহ যে বিবিসি এই পরিবেশকে অনেকটা মহাকাশের সঙ্গে তুলনা করেছে। পৃথিবীর জীবনের সঙ্গে এর তেমন মিল নেই।

টাইটান সাবমেরিনটি সাগরের গভীর তলদেশের যে ভয়ংকর এলাকায় রয়েছে, সেটি হিমাঙ্ক তাপমাত্রা ও সীমাহীন অন্ধকারের জন্য ‘মিডনাইট জোন’ হিসেবে পরিচিত। টাইটানের আগের অভিযানে যেসব মানুষ অংশ নিয়েছিলেন তারা জানিয়েছিলেন, হঠাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠে আঘাতের আগ পর্যন্ত দুই ঘণ্টার বেশি সময় পিচ কালো অন্ধকার অবস্থায় তারা অবস্থান করছিলেন।

সাবমেরিনের আলোতে সাধারণত সাগরের তলদেশে খুব সীমিত অংশ দেখা যায়। অর্থাৎ এমন অন্ধকার যে কয়েক মিটারের বেশি দূর দেখা যায় না। এখন উদ্ধারকারীদের ওই রকম ভয়ংকর পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে অনুসন্ধান কাজ চালাতে হচ্ছে।

গত রোববার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।

উদ্ধার অভিযান শুরুর পর গত মঙ্গল ও বুধবার সাবমেরিন থেকে দুবার আওয়াজ শোনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। বর্তমানে আওয়াজের স্থান লক্ষ্য করে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক