ভুল প্রশ্নে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট এইচএসসি পরীক্ষা!

সংগৃহীত ছবি

ভুল প্রশ্নে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট এইচএসসি পরীক্ষা!

অনলাইন ডেস্ক

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় শরীয়তপুরে একটি কেন্দ্রে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি পরীক্ষা ভুল প্রশ্নে নেওয়া হয়েছে। এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পরে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হলেও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়নি। এতে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন নড়িয়া উপজেলার ডিগ্রি ইসমাইল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪২ পরীক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউট ভেন্যু কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

পরে কেন্দ্রটিতে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বহুনির্বাচনি প্রশ্নের পরীক্ষা শেষ করার পর লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন দেন পরীক্ষার হলে কর্মরত পরিদর্শকরা। পরিদর্শকদের দেওয়া লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ছিল ভুল। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা সেই ভুল প্রশ্নে প্রায় এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পরীক্ষা দেন।

পরে হলে দায়িত্বরত পরিদর্শকরা জানান, আগের প্রশ্নটি ভুল, নতুন প্রশ্নে তাদের পরীক্ষা দিতে হবে। এসময় শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত সময় দাবি করেন। প্রাথমিকভাবে দাবি মানা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে জোর করে খাতা কেড়ে নেওয়া হয়। এতে বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর লিখতে না পারায় পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবেন বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

হাবিবাতুস সাদিয়া নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বারবার আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। ডিসি স্যারের কাছে এসেছি। তিনি সমাধান করে দেবেন বলে আশা করছি। নয়তো আমাদের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। ’

কানিজ ফাতিমা নামের আরেকজন বলেন, ‘অতিরিক্ত সময় না দিয়ে জোর করে খাতা কেড়ে নিয়েছেন শিক্ষকরা। অতিরিক্ত সময় না দেওয়ার কারণে ফলাফল খারাপ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর পাবো কি না তা নিয়ে আমি সন্দিহান। ’

ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে ভেন্যু কেন্দ্রের সহকারী সচিব রতন চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের বয়স হয়েছে, তাই ভুলক্রমে এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নজরে এলে সঠিক প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ’

ডিগ্রি ইসমাইল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক জিএম সামিউল ইসলাম বলেন, ‘৪২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে সবাই ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের ফলাফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের অসতর্কতার কারণে এমন মারাত্মক ভুল হয়েছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। ’

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও রতন চন্দ্র দাসকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে জানানো হয়েছে।

এরআগে প্রথম পরীক্ষার দিনে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট আগে দেওয়ার একই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবসহ দুই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

news24bd.tv/AA