‘গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল’

সংগৃহীত ছবি

‘গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল’

অনলাইন ডেস্ক

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর একের পর এক ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা। যারা জীবন রক্ষায় গাজা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন, তাদের ওপরও হামলা হচ্ছে। সর্বশেষ  গাজার একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

 

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় যতজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন, তার থেকে অন্তত দ্বিগুন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের প্রতিশোধমূলক হামলায়। এসব হামলায় নিহতের প্রায় সবাই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলের এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করছে হামাস।  

স্থানীয়রা বলছেন, হাসপাতালের একটা বড় হলে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েকশ' মানুষ।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা জানাচ্ছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওই হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েকশ মানুষ ধ্বংস্তূপে আটকে পড়েন।

গাজায় হামাস কর্তৃপক্ষের মিডিয়া দপ্তর বলছে, গাজার হাসপাতালে হামলা যুদ্ধাপরাধের সামিল। তারা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ওই হাসপাতালে কয়েকশ' অসুস্থ ও আহত মানুষ ছিলেন, যারা, সম্ভবত আগের বিমান হামলাগুলো কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বহু মানুষ এখনো ধ্বংস্তূপের নিচে আটকে আছে। যদিও ইসরায়েল এ হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং তারা কোনো যুদ্ধাপরাধ করছে না বলে জানিয়েছে।  

এদিকে গাজার আল আহলি হাসপাতালে বিমান হামলায় নিহতদের উদ্দেশে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

এদিকে এ হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন মাহমুদ আব্বাস। বুধবার জর্ডানে বাইডেন ও আব্বাসের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল।

বুধবার বাইডেনের সঙ্গে এ বৈঠকে জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহ-২ এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসিরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বৈঠকটিতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতেন তারা।

তবে পশ্চিমাদের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরাই।

বিশেষ করে রামাল্লাহ শহরে মঙ্গলবার রাতেই বড় আকারের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যেটি দমনে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে ফিলিস্তিনি পুলিশ।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, হাসপাতালে হামলার পর মাহমুদ আব্বাসের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়েছেন ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অধীনে থাকা পশ্চিম তীর ও অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা। তারা মনে করছেন, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে আগ্রাসন দেখাচ্ছে সেটি বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি মাহমুদ আব্বাস।

news24bd.tv/আইএএম