রাশিয়ার গ্যাস আমদানি দ্বিগুণ করেছে ইউরোপের দেশ

সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার গ্যাস আমদানি দ্বিগুণ করেছে ইউরোপের দেশ

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর নানা উত্তেজনার মধ্যে জার্মানি ও অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বেশকিছু দেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল রাশিয়া। তবে ইদানিং রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বাড়িয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। জার্মানি ও অস্ট্রিয়া সম্প্রতি রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ গ্যাস আমদানি করেছে, তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরটির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

অস্ট্রিয়ান বহুজাতিক কোম্পানি ওএমভি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক কোম্পানি গ্যাসপ্রোমের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওই চুক্তির আওতায় ওএমভি রাশিয়া থেকে গত তিন মাসে গড়ে ৫.৪ টেরাওয়াট ঘণ্টা বা ৫৫ মিলিয়ন কিউবিক মিটারের বেশি মাসিক ভিত্তিতে রাশিয়ান প্রাকৃতিক গ্যাস কিনেছে। গত এক বছরে ওএমভি অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে মোট যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করেছে, এই গ্যাসের পরিমাণ একই সময়ের মধ্যে গত বছরের আমদানির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

তবে চুক্তি অনুযায়ী যে গ্যাস আসার কথা তা সরবরাহে বিঘ্ন ঘটারও আশঙ্কা আছে এবং এমনটি হলে কোম্পানিকে উল্লেখ্যযোগ্য ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলেও জানায় ওএমভি।

 

প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ওএমভি মোট ২.৫ টেরাওয়াট ঘণ্টা গ্যাস আমদানি করেছে। পরের ত্রৈমাসিকে সরবরাহ সামান্য বৃদ্ধি পায়, এ সময় ২.৮ টেরাওয়াট ঘণ্টা বা ২৯ মিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস আমদানি করা হয়।  

সেখানে চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে অস্ট্রিয়ায় সরবরাহের জন্য ওএমভি গ্যাসপ্রোম থেকে ৪.৮ টেরাওয়াট ঘণ্টা বা ৪৯.৬ মিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস কিনেছে। পরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই আমাদির পরিমাণ ছিল ৪.৯ টেরাওয়াট ঘণ্টা।  

অস্ট্রিয়ার গ্যাসের চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ সরবরাহ করে ওএমভি।  গত বছর কোম্পানিটি প্রথম রাশিয়ান গ্যাসের জন্য রুবলে অর্থ দিতে রাজি হয়েছিল। একটি নতুন বন্দোবস্ত ব্যবস্থার অধীনে এটা মস্কো চালু করেছিল এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দেশগুলোর জন্য এটা ছিল বাধ্যতামূলক।  

তখন ওএমভি’র প্রধান নির্বাহী আলফ্রেড স্টার্ন বলেছিলেন, রাশিয়ান গ্যাস ত্যাগ করা অস্ট্রিয়ার পক্ষে অসম্ভব এবং এটা দেশটির অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করবে।  

স্টার্ন সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ওএমভি ও গ্যামপ্রোম দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করেছে এবং এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। ২০১৮ সালে এ চুক্তি করা হয় এবং ২০৪০ সাল পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, যতদিন গ্যাসপ্রোম গ্যাস সরবরাহ করবে আমরা আমদানি অব্যাহত রাখবো।

news24bd.tv/আইএএম