নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক আজ

মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক আজ

নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক আজ

অনলাইন ডেস্ক

আজ নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতিসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। আওয়ামী লীগের নতুন সরকারে দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল রোববার প্রথম দিনের মতো সচিবালয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে আসেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভাকক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। আলোচ্যসূচি সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়ই হবে প্রথম বৈঠকের মূল বিষয়। এদিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের আগামীর পথচলার দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ে এসে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।

পূর্ণমন্ত্রীদের মধ্যে আ ক ম মোজাম্মেল হককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ওবায়দুল কাদেরকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অর্থ মন্ত্রণালয়; আনিসুল হককে আইন মন্ত্রণালয়; নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে শিল্প মন্ত্রণালয়; আসাদুজ্জামান খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মো. তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; মুহাম্মদ ফারুক খানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; দীপু মনিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; সাধন চন্দ্র মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয়; আবদুস সালামকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মো. ফরিদুল হক খানকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভূমি মন্ত্রণালয়; জাহাঙ্গীর কবির নানককে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; মো. আবদুর রহমানকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; মো. আবদুস শহীদকে কৃষি মন্ত্রণালয়; ইয়াফেস ওসমানকে (টেকনোক্র্যাট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; সামন্ত লাল সেনকে (টেকনোক্র্যাট) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মো. জিল্লুল হাকিমকে রেলপথ মন্ত্রণালয়; ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; নাজমুল হাসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; সাবের হোসেন চৌধুরীকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ বিভাগ; খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়; জুনাইদ আহ্‌মেদকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়; কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

news24bd.tv/DHL