মিয়ানমারে তুমুল যুদ্ধ: বাংলাদেশে ঢুকল ৬৬ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারে তুমুল যুদ্ধ: বাংলাদেশে ঢুকল ৬৬ বিজিপি সদস্য

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে। বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০ গুলিবিদ্ধসহ ৬৬ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তারা।

স্থানীয়দের তথ্যে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- প্রবীর চন্দ্র ধর ও একজন নারী (নাম-পরিচয় জানা যায়নি)। তারা দুজনই হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া। গোলাগুলিতে কোনাপাড়ার কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশে বিজিপি সদস্যদের প্রবেশ নিয়ে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহআল মাসরুকি জানান, গোলাগুলি ও সংঘর্ষে প্রাণহানির শঙ্কায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির অনেক সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে কতজন মিয়ানমার বিজিপির সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন এখনই সংখ্যাটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাদের প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।

সীমান্ত পথে আরও অনেক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে উত্তেজনার ঘটনায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে তুমুল গোলাগুলি, বাংলাদেশে গুলিবিদ্ধ ৩

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বাইডেনের চিঠি

আরও পড়ুন: মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক