নাগরিকদের দ্রুত রাখাইন ছাড়ার নির্দেশ ভারতের

নাগরিকদের দ্রুত রাখাইন ছাড়তে নির্দেশ ভারতের

নাগরিকদের দ্রুত রাখাইন ছাড়ার নির্দেশ ভারতের

সামরিক জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির আশঙ্কায় নাগরিকদের দ্রুত মিয়ানমারের রাখাইন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। আজ বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্য দখল করার পরেই এ নির্দেশ দিল ভারত। পাশাপাশি নতুন করে মিয়ানমার ভ্রমণে বারণ করা হয়েছে।

সতর্কবার্তায় যা বলা হয়েছে: ভারতীয়দের রাখাইন প্রদেশ দ্রুত ছাড়ার জন্য মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে; নষ্ট হয়েছে যোগাযোগব্যবস্থাও। সেখানে দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব। এই অবস্থায় ওই অঞ্চল বসবাসের জন্য নিরাপদ নয়। ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত মিয়ানমার ছেড়ে দেশে ফেরার জন্য আবেদন করা হয়।

মিয়ানমারের গণমাধ্যেমর তথ্য অনুযায়ী, জান্তা বাহিনীর সেনার সঙ্গে ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের’ মধ্যে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গতকাল রাখাইন রাজ্যে দুটি শহরের সেনাঘাঁটি দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা।

রাখাইনের রামরিতে দেশটির বিমানবাহিনীর ঘাঁটিও দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা। এ ছাড়া মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা কয়েকটি গ্রাম ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের’ দখলে এসেছে। ওই অঞ্চলের সেনা ছাউনিগুলো দখল হয়ে গেছে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে গণতন্ত্র পুনরুত্থানের জন্য জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে।

জাতিসংঘের আবেদন
সরকারির বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুলল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোতে যাতে সরকারি সেনা হামলা না করে, তার জন্য মিয়ানমার সরকারকে নজর রাখার জন্য দেওয়া হয়েছে পরামর্শ। গত সোমবার এসংক্রান্ত একটি বিবৃতি নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইকুয়েডর ও মাল্টা।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি জান্তা সেনা কায়া রাজ্যের দেমোসো শহরের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালায়। হামলায় ১২ থেকে ১৪ বছরের চার শিশু মারা যায়; আহত হয় ১৫ শিশু। হামলার কথা সরকারি সেনার পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল। তার পরেই হামলার নিন্দা করে বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোর ওপর হামলা না চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য চিন ও রাশিয়া স্বাক্ষর করেনি বলে জানা গেছে।

news24bd.tv/aa