রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা পাড়ার বাসিন্দা মেমেসিং মারমা। তিনি একই ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালে বাবা উপাচিং মারমা (৪৭) মরদেহ বাড়িতে রেখে ধর্ম বিষয়ক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে হঠাৎ পরলোকগমন কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা পাড়ার বাসিন্দা উপাচিং মারমা।
তার মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।সব শিক্ষার্থীদের মতো নিজেও ধর্ম বিষয়ক পরীক্ষায় অংশ নিতে আগে থেকে ছিল প্রস্তুত। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন হঠাৎ পরলোক গমন করেন তার পিতা। পিতৃবিয়োগে ভেঙে পরে মেয়ে মেমেসিং।
কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা এলাকার গ্রাম প্রধান (কারবারি) চিংসুই মং মারমা জানান, উপাচিং মারমা একজন সাধারণ জুম চাষি। অভাবের সংসার। নিজেও কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিল। তার পরিবারে চারজন সদস্য সহধর্মীনি ও এক ছেলে এক মেয়ে। স্বপ্ন ছিল মেয়ে মেমেসিং মারমাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবে। তাই কষ্টের টাকা দিয়ে মেয়েকে পড়া লেখা করাতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য মেয়ের পরীক্ষার সময় তার মৃত্যু হয়েছে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে তাই লাশ রেখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মেমেসিং মারমা।
কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, মেমেসিং মারমা ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ হতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলো একটু ধর্য্যর সঙ্গে দিতে পারলে আশা করি তার স্বপ্নপূরণ হবে।
news24bd.tv/কেআই