এবারের হজের খুতবা বাংলাসহ ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে। টানা ষষ্ঠবারের মতো এবার বাংলা ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হচ্ছে। মূল আরবি খুতবার সঙ্গে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে অনুবাদও। চলতি বছর হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব। তারা চারজনই বাংলাদেশি। তারা সবাই মক্কার উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। এবার হজের আনুষ্ঠানিকতা আগামী ৪ জুন শুরু হবে। হজ বা আরাফা দিবস পালিত হবে ৫ জুন (৯ জিলহজ)। পবিত্র আরাফাতের ময়দানে হাজিদের সবাই অবস্থান করবেন। সেদিন লাখ লাখ হাজির উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। সৌদি বার্তা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ১৪৩৯ হিজরি মোতাবেক ২০১৮ সালে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের বিশেষ নির্দেশনায়...
চলতি বছর হজের খুতবা বাংলায় অনুবাদ করবেন যারা
অনলাইন ডেস্ক

নারীদের হজ পালনে যেসব বিশেষ বিধি-বিধান
অনলাইন ডেস্ক

পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে হজের বিধি-বিধানগত পার্থক্য বিবেচনায় সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত জরুরি। কেননা, প্রিয় নবী (সা.) আয়েশা (রা.)-কে বলেন, তোমাদের জন্য মাবরুর (কবুল) হজ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ জিহাদ। (বুখারি) হজের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ কিছু বিধি-বিধান মেনে চলতে হয়। যেমন নারীদের হজের অন্যতম শর্ত মাহরাম (অর্থাৎ পিতা, চাচা, শ্বশুর, ভাই, নিজের ছেলে, ভাতিজা, ভাগিনা, জামাতা ও অন্যান্য) সঙ্গী থাকা। এ মাহরাম সঙ্গীকে অবশ্যই সুস্থ-সক্ষম, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম হতে হবে। আরবি মাহরাম অর্থ হালালের বিপরীত বা হারাম। অর্থাৎ যাদের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ ও সাক্ষাৎ অনুমোদিত। অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া। দৈহিক-আর্থিকভাবে সামর্থ্য রয়েছে নারীদের হজের ক্ষেত্রে স্বামী বা পিতামাতার অনুমতি নেওয়া মুস্তাহাব। তবে অনুমতি পাওয়া না গেলেও হজ করা যাবে, বরং অভিভাবকের উচিত হবে, অনুমতিপ্রত্যাশী...
কোরবানি মানবসেবার অন্যতম উদাহরণ
আহমাদ আরিফুল ইসলাম

কোরবানি মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ ও ঈমানি পরীক্ষার স্মারক। ইসলামের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতিটি ইবাদতের পেছনে গভীর আধ্যাত্মিকতা ও সমাজকল্যাণ নিহিত থাকে। কোরবানিও এর ব্যতিক্রম নয়। এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে স্মরণযোগ্য হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সেই দৃশ্য, যেখানে তিনি আল্লাহর নির্দেশে নিজ পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হন। আল্লাহ তাঁর এই আনুগত্য ও আত্মনিয়োগ দেখে সন্তুষ্ট হন এবং ইসমাইলের পরিবর্তে একটি পশু জবাইয়ের মাধ্যমে সেই ত্যাগের স্মৃতি চিরস্থায়ী করে দেন। এটি ছিল মূলত আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আত্মসমর্পণের এক চূড়ান্ত উদাহরণ। ইসলামে তাই কোরবানি কেবল পশু জবাই নয়, বরং ঈমান ও তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ। কোরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আল্লাহর কাছে পৌঁছে না পশুর গোশত কিংবা রক্ত; বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭) অর্থাৎ...
হজ ও কোরবানিতে ইবরাহিম-পরিবারের স্মৃতি
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে ইবরাহিম (আ.)-এর রয়েছে এক মহতি আন্তরিকতা ও সখ্যতা। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠতম যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (মুহাম্মাদ) ও যারা ঈমান এনেছে; আর আল্লাহ্ মুমিনদের অভিভাবক। (সুরা ইমরান, আয়াত: ৬৮) ইবরাহিম (আ.) এই দ্বিন ইসলামের অনুসারীদের মুসলিম নামকরণ করেছেন। আল্লাহ বলেন, তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বিনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এতো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের মিল্লাত। তিনি ইতিপূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।। (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮) ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফলে রাসুল (সা.)-এর আগমন হয়েছে। ইবরাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন, হে আমাদের রব! তাদের মধ্য হতে তাদের কাছে এক রাসুল প্রেরণ করো যে তোমার আয়াতসমূহ তাদের কাছে তেলাওয়াত করবে; তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। তুমি তো...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর