সুস্থভাবে রোজা পালন করার জন্য জরুরি সঠিক পুষ্টি। আর এ কারণে সেহরিতে সঠিক খাদ্য নির্বাচর করা খুব জরুরি। সেহরিতে ভালোভাবে খাবার খেলে সারাদিন পর্যাপ্ত এনার্জি পাওয়া যায়। এছাড়া মাথাব্যথা, দুর্বলতার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
এ জন্য সেহরিতে এমন খাবার খেতে হবে, যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে এবং পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে।এখন যেহেতু গরমকাল, সে কারণে খাবারের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা দরকার। তা না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে এ সময় খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
খেজুর
রোজায় খেজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে খেজুর খেলে দিনভর কর্মক্ষম থাকার শক্তি পাওয়া যায়। সেহরির সময় অন্তত এক থেকে দুটি খেজুর খান। এছাড়া রোজা ভাঙার সময় অর্থাৎ ইফতারেও খেজুর খান। খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ। এতে রয়েছে অনেক আঁশ। এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ফল ও সবজি
সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবজি খান। ফল ও সবজির মধ্যে রয়েছে আঁশ, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন। এগুলো শরীরের জন্য জরুরি।
রুটি
রুটিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। সেহরিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা অনুভূত হবে।
ভাত
সেহরিতে চাইলে ভাত, ডাল ও সবজি রাখতে পারেন। পাশাপাশি প্রোটিন এবং সামান্য ফ্যাটও খেতে পারেন। ভাতের মধ্যে রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। এটি দেরিতে হজম হয়। ভাত খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। এতে ক্ষুধা কম লাগে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিক রোগীদের রোজা রাখার পদ্ধতি
চর্বি ছাড়া মাংস
চর্বি ছাড়া মাংস সেহরিতে খাওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে মুরগির মাংস খেতে পারেন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে।
ছোলা
সেহরিতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলা খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হয়।
দই
দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া রোজায় সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
স্যুপ
সেহরির সময় খাবার খাওয়া শুরু করুন স্যুপ দিয়ে। এমনকি ইফতারেও খেতে পারেন স্যুপ। এটি কেবল দেহকে আর্দ্র রাখবে না, শক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করবে।
পানি
খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং পানি পিপাসা মেটাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া ইফতার ও সেহরিতে মাঝামাঝি সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
news24bd.tv/ab