শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে মানুষের ঢল

সংগৃহীত ছবি

শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে মানুষের ঢল

অনলাইন ডেস্ক

তিন ধাপে গুলির আওয়াজে শুরু হয়ে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

ভোর থেকেই শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।

কেউ গাড়িতে চড়ে, কেউ ইজিবাইকে, কেউ সাইকেলে, কেউবা হেঁটে আসছেন। প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে, অন্যটি ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে এসেছে। নামাজের সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের অংশগ্রহণে মাঠসহ আশাপাশের রাস্তা ঘাট ও বাসাবাড়ির ছাদ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
এই নামাজে অন্তত কয়েক লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

আজ বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানে ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত শুরু হয় সকাল ১০টায়। বিশাল এই মাঠে নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নামাজ শুরুর সংকেত হিসেবে গুলি ছুঁড়ে আওয়াজ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে রেওয়াজ অনুযায়ী ঈদের জামাত শুরু হওয়ার ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি করে শর্টগানের গুলি ছোঁড়া হয়। আর এই গুলিগুলো ছোঁড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার।

ঈদের জামাতকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে শোলাকিয়া ও আশাপাশের এলাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাবেস্টনী পার হয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হচ্ছে ঈদগাহ মাঠে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাসিমুখে সহযোগিতা করতে দেখা যায় মুসল্লিদের।

নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ।

ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫ প্লাটুন বিজিবি, বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠে সাদা পোষাকে নজরদারি করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তাছাড়া মাথার উপরে উড়ছে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরসহ প্রবেশ পথগুলো সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মাঠে স্থাপিত ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকোলার ও স্নাইপার রাইফেল নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। শোলাকিয়া এলাকা ও শহরের যত অলিগলি আছে, সবখানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক