পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গেছেন ৩৭ হাজার ১১৫ জন হজযাত্রী। শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৯২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস, ঢাকা। হজ অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদিতে পৌঁছেছেন ৪ হাজার ৫৬৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৩২ হাজার ৫৫১ জন হজযাত্রী। চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য মোট ৮২ হাজার ২২৮টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। ফ্লাইট পরিচালনার দিক থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৪৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৩১টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। চলতি বছর হজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর...
বাংলাদেশি ৩৭ হাজার ১১৫ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন, মৃত্যু ৫
অনলাইন ডেস্ক

যার ইহরাম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে আয়াত নাজিল হয়
মাইমুনা আক্তার

প্রিয় নবীজি (সা.) প্রায় সব যুদ্ধে সঙ্গী বীর সাহাবি কাব ইবনে উজরা (রা.)। তঁার উপনাম ছিল আবু মুহাম্মদ/আবু ইসহাক। পিতা উজরা ইবনে উমাইয়া। তাঁর বংশপরম্পরা বালী গোত্রের সঙ্গে গিয়ে মিলে। সে হিসেবে তাঁকে বালাভী বলা হয়। তিনি ছিলেন প্রসদ্ধি সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) তাঁর জামাতা। আল্লামা ওয়াকিদি (রহ.)-এর মতে হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) একজন আনসারি সাহাবি। তবে অন্যদের মতে তিনি আনসারদের হালীফ, অর্থাত্ মৈত্রী-চুক্তিবদ্ধ বন্ধু। তবে কোন গোত্রের, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। (উসদুল গাবাহ : ৪/১৮১, ক্র. ৪৪৬৫; মুখতাসার তারিখে দিমাশক ২১/১৭৭-১৭৮; মুজামুস সাহাবা : ৫/১০০) প্রথম দিকে তিনি মূর্তি পূজার প্রতি আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে মহান আল্লাহ তঁার অন্তরে হেদায়েতের আলো জালিয়ে দিলে তিনি খাঁটি মনে তাওবা করে ইসলাম গ্রহণ করেন। এবং আজীবন ইসলামের প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা...
নবীজির সঙ্গে যারা জান্নাতে থাকবে
মুফতি আব্দুল্লাহ আল ফুআদ

পৃথিবীতে নবীর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন একমাত্র সাহাবায়ে কেরাম। দুনিয়ার জীবনে আর কোনো মুমিনের এ সৌভাগ্য ললাটে আসবে না। তবে নবীজি (সা.) এমন কিছু আমল বর্ণনা করেছেন যা পালন করলে মুমিন ব্যক্তি জান্নাতে তঁার সান্নিধ্য লাভ করবে। যার কয়েকটি হলো বেশি বেশি সিজদা করা : রাবিআহ ইবনে কাব (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রাতযাপন করতাম। একদা আমি তঁার অজু ও ইসতেনজা করার জন্য পানি আনলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কিছু চাওয়ার থাকলে চাইতে পারো। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওটা ছাড়া আর কিছু চাও কি? আমি বললাম, এটাই চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে বেশি বেশি সিজদার দ্বারা তুমি এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কোরো। (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯) এতিমের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা : সাহাল বিন সাদ (রা.)...
মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরানোর নিয়ম
আহমাদ ইজাজ

কাফন তিন প্রকার। ১. সুন্নাত কাফন, ২. কেফায়া কাফন ও ৩ প্রয়োজনীয় কাফন। পুরুষের সুন্নাত কাফন হলো কামিস, ইজার ও লেফাফা। (মুসলিম, হাদিস : ১৫৬৫, মুআত্তা মুহাম্মদ ২/৮৮) পুরুষের কেফায়া কাফন হলো, ইজার ও লেফাফা। এর চেয়ে কম করা মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস : ১১৮৬) পুরুষের জন্য প্রয়োজনীয় কাফন হলো, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ কাফন পাওয়া যায়। সেটা শুধু সতর ঢাকা পরিমাণই হোক না কেন। (বুখারি, হাদিস : ১১৯৭) নারীদের সুন্নাত কাফন হলো লেফাফা, ইজার, কামিস, ওড়না ও সিনাবন্দ। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৪৫) নারীদের কেফায়া কাফন হলো, ইজার, লেফাফা ও ওড়না। (হেদায়া : ১/৮৯) নারীদের জরুরি কাফন হলো প্রয়োজনের সময় যতটুকু পাওয়া যায়। উত্তম হলো সিনাবন্দ বক্ষ থেকে রান পর্যন্ত হওয়া। (বুখারি, হাদিস : ১১৯৭) কাফনের কাপড় সাদা হওয়া উত্তম। (তিরমিজি, হাদিস : ৯১৫, মুসলিম, হাদিস : ১৫৬৩) ইজার মাথা থেকে পা পর্যন্ত...