আয়াতুল্লাহলি উজমা খামেনেয়ি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা । ইরানের বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দুটি পুরনো বক্তব্য দেশটিতে নতুন করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিফলেটের মতো ছাঁপিয়ে বিলিও করা হচ্ছে । রেডিও তেহরান প্রকাশ করছে ।
কি আছে সেই দুটি বক্তব্যে? পার্স টুডে’র প্রতিবেদন মতে,
(এক) মৃত্যু পরবর্তী আমাদের জীবনের পর্যায়টি আমাদের বর্তমান জীবনের চেয়ে আরও পরিপূর্ণ। আজ আমরা শরীরের চার দেয়ালে বন্দী ও সীমাবদ্ধ জীবন যাপন করছি।
ইসলামি বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রধান ও মৌলিক দিক হচ্ছে মৃত্যুর পরও জীবন অব্যাহত থাকার বিষয়টি। অর্থাৎ মৃত্যু দিয়ে জীবন শেষ হয়ে যায় না।
(দুই) আমাদের জীবনের পরবর্তী পর্যায়টি আমাদের বর্তমান জীবনের চেয়ে আরও পরিপূর্ণ। আজ আমরা শরীরের চার দেয়ালে বন্দী ও সীমাবদ্ধ। যদিও আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি সর্বগামী এবং দৃষ্টিভঙ্গি সর্বত্র বিরাজমান এবং আমাদের ইচ্ছা শক্তি অনেক কিছুকে অতিক্রম করতে পারে, কিন্তু এতো কিছুর পরও আমাদের শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে অনেক। আমাদের মৃত্যু পরবর্তী জগতে ভিন্ন ধরনের এমন শারিরিক অবকাঠামো থাকবে যেখানে এই দৈহিক সীমাবদ্ধতা থাকে না এবং মানুষ অনেক ব্যাপক অর্থে অসীম হয়ে যাবে। অর্থাৎ একজন মানুষ মৃত্যুর পর পুনরুত্থান দিবসে বেহেশত ও দোজখে নিজের অস্তিত্বের বিশালতা খুঁজে পাবে। এ ব্যাপারে ঐশী ধর্মগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এক ও অভিন্ন। মৃত্যু পরবর্তী সময়ে দুই ধরনের জীবন আছে। একটি সুখী ও আরামদায়ক জীবন এবং সব দিক থেকে পরিপূর্ণ। আর অন্যটি হলো তিক্ত ও কঠিন জীবন এবং নির্যাতন ও কষ্টের সর্বোচ্চ পর্যায়। প্রথমটিকে বেহেশত এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে দোজখ। (আয়াতুল্লাহলি উজমা খামেনেয়ির বক্তব্য, ১৩ মে ১৯৯২)
ধারণা করা হচ্ছে দেশের জন্য দরকারে শহীদ হওয়ার জন্যই এ দুটি বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।
news24bd.tv/ডিডি