দাবদাহের মধ্যেই শুরু হচ্ছে নারী ফুটবল লিগ

বিভিন্ন দলের অধিনায়ক

দাবদাহের মধ্যেই শুরু হচ্ছে নারী ফুটবল লিগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রচণ্ড গরমে জীবন বিপর্যস্ত। এমন আবহাওয়ার মধ্যেই ৯ দলের অংশগ্রহণে আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে নারী প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ষষ্ঠ আসর।  

ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মো. মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় লিগের দলগুলো হলো— নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি, বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস ক্লাব, এরআরবিসি স্পোর্টিং ক্লাব, ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব, সিরাজ স্মৃতি সংসদ, উত্তরা ফুটবল ক্লাব, ঢাকা রেঞ্জার্স, জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশ ও জামালপুর সদ্যপুষ্করণী স্পোর্টিং ক্লাব।

টুর্নামেন্টের শুরুতেই দুই ভাই গোলাম রব্বানী ছোটন ও গোলাম রায়হান বাপনের লড়াই। জাতীয় দলের সাবেক কোচ ছোটন রয়েছেন আর্মি দলের দায়িত্বে। অন্যদিকে, এআরবিসির কোচের দায়িত্বে বাপন। এই ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল পৌঁনে ৪টায়।

২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নারী লিগ মাঠে গড়িয়েছে পাঁচ বার। এখন থেকে নিয়মিত লিগ গড়ানোর পাশাপাশি সব দলের অংশগ্রহণ চান বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহাফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেন, এবারের লিগ হবে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। একপেশে ম্যাচ হবে না। প্রথম ম্যাচ দিয়েই বুঝতে পারবেন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বী হবে এবারের লিগ।

দেশে চলছে তাপপ্রবাহ। তাপদাহে সড়কে গলছে পিচ। থমকে আছে জনজীবন। স্কুল কলেজও বন্ধ। গড়ে প্রায় প্রতিদিনই ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে ঢাকা শহরে। এই অবস্থায় কমলাপুর স্টেডিয়ামের কৃত্রিম টার্ফ রোদের তাপে প্রচণ্ড গরম হয়ে পড়ে।  

যেখানে ঘাসের মাঠে ফুটবল খেলতেই হাঁসফাঁস করেন ফুটবলার, সেখানে প্রচন্ড গরমে দুপুর বেলায় শুরু হবে মেয়েদের লিগ। যদিও সকাল সাড়ে ৯টাও ম্যাচ রাখা হয়েছে লিগে।  

এমন গরমে কীভাবে ফুটবল খেলবে মেয়েরা? প্রশ্নটা করতেই বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা নিজেরাও জানি এখানে প্রচুর গরম। এখানে খেলা অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের বাইরে কোনো জায়গায় খেলার আয়োজন চালানোর বিষয়টা ম্যানেজ করতে পারতাম না। ’

মাঠ সংকট ও ফ্লাড লাইটের ব্যবহারে অপরাগতার কারণটাকে সামনে আনলেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের একটাই মাঠ। আর কোনো মাঠ নেই। এই মাঠে প্র্যাকটিস করতে হয়। আবার এই মাঠে খেলতে হয়। যে কারণে সকালে ১০টায় যে খেলা ছিল সেটা অনেক কষ্টে সাড়ে ৯টায় নিয়েছি। তাছাড়া ভোর ৬টা থেকে ন্যাশনাল টিমের প্র্যাকটিস চলে। তাদের জন্য সময় দিতে হয়। এছাড়া স্টেডিয়ামে আমরা ফ্লাড লাইট ব্যবহার করতে পারবো না। কারণ সেটা ব্যবহার করতে গেলে প্রতি ম্যাচ বাবদ সাড়ে ১৩ হাজার করে টাকা বিল আসবে বাফুফের। যে বিলটা আমাদের দিতে হবে এনএসসিকে। এত টাকা আমাদের নেই। ’

এবারের নারী ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫ লাখ টাকা ও রানার্স আপ দল পাবে ৩ লাখ টাকা। এছাড়াও অংশগ্রহণ ফি হিসেবে প্রত্যকটি দল পাবে ৫০ হাজার। এবারের লিগে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইউসিবি ব্যাংক।
news24bd.tv/আইএএম