মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার বলেছেন, হামাসকে এমন একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। সর্বশেষ এই খসড়া প্রস্তাবের সব শর্ত ইসরায়েল মেনে না নিলেও এটি তৈরিতে সহায়তা করেছে। এতে দুই পর্যায়ের কথা বলা হয়েছে।
এরিমধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দিবিনিময় নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলাপ চলছে।
এক) যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং প্রতি তিন দিন পরপর হামাস ৩ জন করে মুক্তি দেবে।
দুই) যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস সেনাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে উন্নত চিকিৎসার জন্য।
তিন) ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে উঠে যাবে। একই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করবে।
চার) বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে। এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপেই গাজায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও জ্বালানি প্রবেশ করতে থাকবে।
পাঁচ) ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে এবং এই মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েল আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না, সেই নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
ছয়) তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ইসরায়েলকে ৪০ জন করে ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং প্রতি তিন দিন পরপর হামাস তিনজন করে মুক্তি দেবে।
সাত) যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ বিস্তৃত হবে ৪২ দিন। সেখানে উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সাধারণ ভিত্তিকে একমত হবে।
আট) তৃতীয় ধাপও বিস্তৃত হবে ৪২ দিন। এই ধাপে উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত যোদ্ধা বা সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্যে একটি পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে।
news24bd.tv/ডিডি
