ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার খবর আসার পরই তাকে প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্টের পাশে শিক্ষা চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
জানা গেছে, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম পদত্যাগ করেননি। তাকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করা হচ্ছে বলে বিকালে খবর আসে। সেই প্রসঙ্গ ধরে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গত পনের বছর যে অত্যাচার হয়েছে, মো. আশফাকুল ইসলাম তার সহযোগী। আমাদের দাবি, তাকে সরিয়ে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। ’
সম্প্রতি বিচারপতিদের পদত্যাগের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শূন্যতা পূরণে হাইকোর্ট বিভাগের ৭ বিচারককে সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব দেওয়ারও খবর এসেছে ইতোমধ্যে। সাতজনের ওই সম্ভাব্য তালিকাতেও বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নাম রয়েছে।
বাংলাদেশের তৃতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী নিয়োগ পান।