ক্রীড়াঙ্গনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে এসে দেশের অন্যতম বৃহৎ করপোরেট গ্রুপ বসুন্ধরা বিভিন্ন খেলার চর্চায় সহযোগিতার হাত প্রশস্ত করার পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবে দেশে এবং দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও খেলার আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, যা বেসরকারি উদ্যোগের ক্ষেত্রে কোনো করপোরেট গ্রুপ বিনিয়োগের মাধ্যমে করেনি। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন খেলার ক্রীড়াকাঠামো (বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি, যার স্লোগান হলো আগামী এখানে!) নির্মাণের পাশাপাশি আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সমন্বয়ে ফিফা এবং এএফসি সনদপ্রাপ্ত স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলজগতে একমাত্র আধুনিক প্রাইভেট স্টেডিয়াম। কিংস অ্যারেনা শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নয়, ইউরোপের স্বনামধন্য ক্লাবগুলোতেও আলোচনার জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে। তারা...
একজন ক্রীড়া অন্তপ্রাণ ব্যক্তিত্ব
ইকরামউজ্জমান

সরকারের জন্য আরেকটি ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্ব
মন্জুরুল ইসলাম

বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে পৃথিবীজুড়ে তোলপাড়। সুন্দর, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় ধরণির মূলমন্ত্র রয়েছে এ তত্ত্বে। থ্রি জিরো তত্ত্ব একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। জিরো দারিদ্র্য (Zero Poverty), জিরো বেকারত্ব (Zero Unemployment) ও জিরো নেট কার্বন নিঃসরণ (Zero Net Carbon Emission)। এ তিন তত্ত্ব বাস্তবায়নে লাগবে তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা। পঁচাশি বছরের এ তরুণ এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারুণ্য অর্জিত অন্তর্বর্তী সরকারের। পতিত ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ছাড়া দেশবাসী এ সরকারের সফলতা কামনা করে। বারবার হোঁচট খাওয়া জাতি একটি স্থায়ী সংস্কার কাঠামোর মধ্যে আগামীর পথ রচনা করতে চায়। দেশবাসীর এ প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আরেকটি থ্রি জিরো তত্ত্ব বাস্তবায়ন করতে হবে। এ তত্ত্বটি হলো জিরো অদক্ষতা (Zero Inefficiency), জিরো অদূরদর্শিতা (Zero Imprudence) ও জিরো অসততা...
প্রতিবিপ্লবের শঙ্কা এবং ‘ডেভিল হান্ট’
অদিতি করিম

৫ ফেব্রুয়ারি ছিল স্বৈরাচার পতনের ছয় মাস পূর্তি। ওই দিন আকস্মিকভাবে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। তার এই সিদ্ধান্ত মুহূর্তে ছাত্র-জনতা এবং জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বুলডোজার অভিযান। ঘোষণা করা হয়, ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। রাত ৯টায় অনলাইনে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। রাত ৯টার আগেই ছাত্র-জনতা জমায়েত হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচিতে। ৯টায় শেখ হাসিনার ভাষণের আগেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় ছাত্র-জনতা। পতিত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সব ক্ষোভ যেন আঁচড়ে পড়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। ভাঙাচোরা এবং আগুনে পোড়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া হয়। গভীর...
'মূল ব্যবধান ওইখানেই—কেউ খায়, কেউ পায় না'
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বিদগ্ধ নাগরিকের মার্জিত ভাষা যেন ভিটামিনবর্জিত ছাঁটা সিদ্ধ চালের ফ্যানগালা ভাত। তার না থাকে স্বাদ, না থাকে পুষ্টিএ মন্তব্য একদা অন্নদাশঙ্কর রায় করেছিলেন বাংলার রেনেসাঁস নামে বইয়ে। বাংলার রেনেসাঁস বহু অঘটন ঘটিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ভদ্রলোক শ্রেণি ও শ্রমিক শ্রেণির মধ্যকার ব্যবধানটি ঘোচাতে পারেনি। আর এই ব্যবধানেরই একটি অভিব্যক্তি হচ্ছে ভাষার ব্যবধান। সাহিত্যের ভাষাকে রবীন্দ্রনাথ ও প্রমথ চৌধুরী মানুষের মুখের ভাষার কাছাকাছি আনার ব্যাপারে যথেষ্ট করেছেন, এনেছেনও খানিকটা, কিন্তু খুব বেশি দূর এগোয়নি। সাহিত্যের ভাষা আলাদা হয়েই রইল। আর সেই ভাষাই হয়ে দাঁড়াল বিদগ্ধ নাগরিকের মার্জিত ভাষা। আমরা অবশ্য জানি কেউ কেউ চেষ্টা করেছিলেন চলতি বুলিকেই সাহিত্যের বুলি করবেনযেমন প্যারীচাঁদ মিত্র ও কালীপ্রসন্ন সিংহ, কিন্তু তাঁদের ভাষা কল্কে পায়নি, বিদগ্ধ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর