হজ থেকে ফিরে শুকরিয়াস্বরূপ আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-মিসকিনদের খাবারের দাওয়াত দেওয়া উত্তম। ইসলামের পরিভাষায় সে খাবারকে নকিয়াহ বলা হয়। রাসুল (সা.) যখন মদিনায় ফিরতেন তখন তিনি একটি উট অথবা একটি গরু জবেহ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩০৮৯) উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে বাত্তাল (রহ.) বলেন, সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মানুষকে খাওয়ানো মুস্তাহাব এবং এটি পূর্ববর্তীদের আমল। (ফাতহুল বারি, ৬/১৯৪) তবে অহংকার, লোক দেখানো ও বিশেষ উদ্দেশ্য সামনে রেখে এমন দাওয়াতের ব্যবস্থা করা অনুচিত। অন্যদিকে হজ থেকে আগমনকারী হাজিদের স্বাগত জানানো একটি উত্তম কাজ। ইমাম বুখারি (রহ.) সহিহ বুখারিতে হজ থেকে আগমনকারী হাজিদের স্বাগত জানানো নামে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন। (অধ্যায়-২৬, অনুচ্ছেদ-১৩) সেখানে তিনি বর্ণনা করেছেন, সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) মক্কায় এলে আবদুল...
হজ থেকে ফিরে আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-মিসকিনকে খাওয়ানো
আহমাদ মুহাম্মাদ

পাপের স্বীকারোক্তি কেবল আল্লাহর কাছে
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

জীবনে মানুষ কত শত পাপে জড়িয়ে পড়ে। পাপ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হয়। আর তাওবার একটি দিক হলো পাপ স্বীকার করা, অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। পাপের স্বীকারোক্তি ও অনুতাপ প্রকাশ করতে হবে কেবল আল্লাহর কাছে। অন্য কারো কাছে নয়। কেননা বান্দার গুনাহ কেবল আল্লাহই ক্ষমা করতে পারেন। ইরশাদ হয়েছে, তারা কি জানে না যে, আল্লাহই একমাত্র তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন। (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০৪) হাদিসে সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমার যে দোয়া শেখানো হয়েছে সেখানেও পাপ স্বীকারের বর্ণনা এসেছে। দোয়াটি হলো, হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মাবুদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের ওপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার ওপর তোমার যে নিয়ামত...
বিপদাপদে পাপ মোচন হয়
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ

পৃথিবীতে চলতে ফিরতে মানুষ বিভিন্ন সময় নানা ধরনের বিপদাপদের সম্মুখীন হয়। এই বিপদাপদ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানুষের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। এর মাধ্যমে তিনি পরীক্ষা করেন; বিপদাপদে কে ধৈর্যধারণ করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আর কে অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। যারা ধৈর্যধারণ করে, তাদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আছে মহাপুরস্কার। আল্লাহ তাআলা বলেন, অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদেরযারা তাদের উপর বিপদ পতিত হলে বলে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। (আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং তার সান্নিধ্যেই ফিরে যাবো।) তারা সে সমস্ত লোক, যাদের ওপর আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং তারাই সুপথপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫-১৫৭) বিপদাপদ, কষ্ট-ক্লেশের মাধ্যমে আল্লাহ...
ইহুদিরা নবীজি (সা.)-কে যেভাবে কষ্ট দিত
মুহাম্মদ তাকরিম

কোরআনের বর্ণনামতে পৃথিবীর ইতিহাসে কুখ্যাত, লাঞ্ছিত ও অভিশপ্ত একটি জাতি হলো, ইহুদি জাতি। যারা যুগ যুগ ধরে আল্লাহর নাফরমানি ও সীমালঙ্ঘনের জন্য পরিচিত। যারা তাদের নবীদের হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। পবিত্র কোরআনে কুখ্যাত এই জাতির ব্যাপারে এসেছে তাদের ওপর আরোপ করা হলো লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল। এ জন্য যে তারা আল্লাহর বিধানের সঙ্গে কুফরি করত এবং নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করত। কারণ তারা ছিল নাফরমান ও সীমা লঙ্ঘনকারী। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬১) অভিশপ্ত এই জাতি আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-কেউ ছাড় দেয়নি। বিভিন্ন সময় তারা আমাদের নবীজি (সা.)-কে কষ্ট দিয়েছে। তাঁকে মানুষের সামনে অপমান করার চেষ্টা করেছে এমনকি হত্যা করারও চেষ্টা করেছে। নিম্নে কোরআন-হাদিসের আলোকে তাদের সেই কর্মকাণ্ডগুলোর কয়েকটি তুলে ধরা হলো; অপপ্রচার ও বিদ্রুপ...