জীবনে চলার পথে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়। ওঠাবসা হয় বহু জনের সাথে। কারো সাথে তৈরি হয় গভীর সম্পর্ক। সেসব সম্পর্ক গুলো সবসময় ভালো থাকে, ব্যাপরটা এমন নয়। ভুল বোঝাবুঝি কিংবা অন্য কোনো কারণে সম্পর্কের মধ্যে ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের রাগের কারণে অনেক সময় অনেক কথাই বলে ফেলি। কিংবা রাগের কারণে অনেক কথাই শুনতে হয়। তাই কারো কোনো কথায় বা কাজে কষ্ট অনুভূত হলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই শ্রেয়। কেননা ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। মানুষের মধ্যে মহৎ গুণের অন্যতম একটি গুণ হচ্ছে ক্ষমাশীলতা। সর্বোত্কৃষ্ট এ গুণ মানুষকে মহৎ বানায়। মানুষের সম্মান বাড়ায়। এক হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, সদকা করলে সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে তিনি তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।...
ক্ষমা করলে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়
মুফতী ইয়াসীন আরাফাত

বিনা ওজরে লাশ দাফনে বিলম্ব নিন্দনীয়
আজিজ আল কাউসার

প্রত্যেক প্রাণী মরণশীল। মহান আল্লাহর এই নিয়মে প্রতিটি মানুষকেই চলে যেতে হয়। তাই মৃত্যুর আগে মানুষকে তার আখিরাতের সফরের প্রস্তুতি নিতে হয়। আবার যেসব আত্মীয় বা প্রিয়জন মারা গেলে তাকে সঠিকভাবে বিদায় জানাতে হয়। যেমন কোনো ব্যক্তি মারা গেলে প্রথমত তাদের জন্য জীবিতদের চারটি কাজ করতে হয়১. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া। ২. কাফনের ব্যবস্থা করা। ৩. জানাজা দেওয়া ও ৪. দাফন করা। কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার আত্মীয়-স্বজনদের কাজ হলো তাকে যত দ্রুত সম্ভব উপরোক্ত কাজগুলো করে মহান আল্লাহর কাছে সোপর্দ করা। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা জানাজা নিয়ে দ্রুত গতিতে চলো। যদি সে ভালো লোক হয় তাহলে তোমরা তাকে কল্যাণের দিকে দ্রুত এগিয়ে দিচ্ছ। আর যদি সে ভালো লোক না হয়, তাহলে একটা আপদ তোমাদের কাঁধ থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলছ। (বুখারি, হাদিস : ১৩১৫) কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে...
‘তাওফিক’ কাকে বলে
মাইমুনা আক্তার

ইসলামী পরিভাষার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ হলো তাওফিক। সহজ ভাষায় বলতে গেলে তাওফিক হলো, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন সাহায্য ও অনুপ্রেরণা, যার মাধ্যমে বান্দা নেক কাজ করার সুযোগ ও ইচ্ছা পায় এবং গোনাহ থেকে দূরে থাকে। বান্দার ইচ্ছা, ক্ষমতা ও কাজকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী সঠিক পথে পরিচালিত করে দেওয়া। তাওফিকের গুরুত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওফিক পাওয়া ছাড়া কোনো বান্দাই দুনিয়া বা আখিরাতে সফল হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। আর যে শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করবে, নিশ্চয় সে অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেবে। আর যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া না থাকত, তাহলে তোমাদের কেউই কখনো পবিত্র হতে পারত না; কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, পবিত্র করেন। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। (সুরা নুর, আয়াত : ২১)...
সুলতান সুলাইমানের দানশীল কন্যা ‘মেহরিমা সুলতান’
আলেমা হাবিবা আক্তার

মেহরিমা সুলতান ছিলেন সুলতান সুলাইমান ও হুররেম সুলতানের মেয়ে। মেহরিমা শব্দের অর্থ চাঁদের আলো। সুলতান সুলাইমানের শাসনামলে তাঁকে রাজপ্রাসাদের একজন প্রভাবশালী নারী মনে করা হতো। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা, দানশীলতা ও উত্তম গুণাবলীর জন্য ইস্তাম্বুলবাসী তাঁকে বুয়ুক সুলতান বা শ্রেষ্ঠ শাহজাদি উপাধিতে ভূষিত করে। মেহরিমা সুলতান ১৫২২ খ্রিস্টাব্দে ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। রাজপ্রাসাদেই তাঁর শিক্ষা সম্পন্ন হয় এবং রাজকীয় শিক্ষা ও শিষ্টাচারের মধ্যে বেড়ে ওঠেন। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে সুলতান সুলাইমান তাঁকে প্রধানমন্ত্রী ও সেনানায়ক রোস্তম পাশার সঙ্গে বিয়ে দেন। রোস্তম পাশা ছিলেন ক্রোয়োশিয়ার অধিবাসী। একাধিক যুদ্ধে তিনি তুর্কি বাহিনীর বিজয়ে অবদান রাখেন। সুলতান সুলাইমানের আমলে বিভিন্ন প্রাশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। ১৫৬১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি তুর্কি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর