প্রকৃত মুমিন আল্লাহর আনুগত্যে অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে নিজেকে সঁপে দিলে তৃপ্তি ও স্বাদ লাভ করে। আর যদি কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি হয়ে যায়, তাহলে সে ব্যথিত হয়। এই স্বাদ প্রকৃত মুমিনই অনুভব করতে পারে, যেমন সুস্থ মানুষ খাবারের স্বাদ অনুভব করে। হাদিসে বিভিন্ন ইবাদতের স্বাদের কথা বর্ণিত হয়েছে, নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো এক. ঈমানের আছে পরম স্বাদ। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তিনটি গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান, সে ঈমানের স্বাদ পায়(১) যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অন্য সবকিছু থেকে বেশি প্রিয়। (২) যে একমাত্র আল্লাহর জন্য কোনো বান্দাকে ভালোবাসে। (৩) আল্লাহ কুফর থেকে মুক্তি প্রদানের পর যে ব্যক্তি কুফরিতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতো অপছন্দ করে। (বুখারি, হাদিস : ২১) দুই. নামাজের স্বাদ। নামাজে আছে অন্যরকম স্বাদ, যা রাসুল (সা.) অনুভব...
যেভাবে ইবাদতের স্বাদ পাওয়া যায়
জাওয়াদ তাহের

কোরআন ও হাদিসে নারীর ন্যায্য অধিকার
শাব্বির আহমদ

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। যেখানে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির সকল স্তরের মানুষের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সেই নির্ধারণে নারীকে অবহেলিত, অধিকারহীন করে রাখা হয়নি; বরং তাদেরকে সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার প্রদান করা হয়েছে। ইসলামের আগমনের পূর্বে নারীরা ছিল পণ্যের মতো; কিন্তু ইসলাম তাদের দিয়েছে মানবাধিকার, আত্মমর্যাদা এবং সামাজিক নিরাপত্তা। ১. নারী-পুরুষের সমান মানবিক মর্যাদা: আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি তো আদম সন্তানদের মর্যাদা দিয়েছি। (সুরা: আল-ইসরা, আয়ত : ৭০)এই আয়াতে আল্লাহ নারী-পুরুষ উভয়কেই সমভাবে সম্মানিত করেছেন। ইসলাম নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেমা হিসেবে, কন্যা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে ও সমাজের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে। ইসলাম নারীকে দাসত্ব বা অধীনতার প্রতীক মনে করে না; বরং তাদের আলাদা পরিচয়,...
যেভাবে সুখী ও সৌভাগ্যবান হওয়া যায়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

পৃথিবীর সব মানুষ সফলতা চায়। এ সফলতা একেকজন একেক দৃষ্টিকোণ থেকে নির্ধারণ করে। কেউ দুনিয়ার সম্পদ, নারী, গাড়ি, বাড়ি, ক্ষমতা, প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদির মাধ্যমে নির্ধারণ করে। কেউ আবার সুস্বাস্থ্যকে সফলতার উত্স মনে করে। কেউ আবার অন্যকিছুকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মানুষের সফলতা হলো পরকালে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত লাভ করতে পারা আর দুনিয়াতে জান্নাতের যোগ্য হয়ে নিজেকে প্রস্তুত করা। কারণ জান্নাতের অতি সামান্য অংশও দুনিয়া ও তাতে যা আছে তার চেয়ে উত্তম। আল্লাহ চাইলে এ সফলতার জন্য পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পথ অবলম্বন করেও ধনী, সুখী ও সৌভাগ্যের নিদর্শন লাভ করা সম্ভব। যেভাবে ধনী হওয়া যায় : প্রায় প্রতিটি মানুষই ধনী হতে চায়। কিন্তু সম্পদ দিয়ে কি কখনো ধনী হওয়া যায়? কখনোই সম্ভব নয়। কারণ, সম্পদের চেয়ে চাহিদা আরো অনেক বেশি। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা শেষ...
জিজ্ঞাসা: মাকামে মাহমুদের অর্থ কী
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

আমার নাম সুরাইয়া তালুকদার। আমি ঢাকার একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। সম্প্রতি আমি একটি নামাজ শিক্ষার বই কিনেছি। যাতে আজানের দোয়া ও তার অর্থ লেখা আছে। আজানের দোয়াতে মহানবী (সা.)-কে মাকামে মাহমুদ দান করার কথা বলা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, মাকামে মাহমুদের অর্থ ও ব্যাখ্যা কী? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোরআনের আয়াত ও একাধিক হাদিস দ্বারা মাকামে মাহমুদ প্রমাণিত। এর শাব্দিক অর্থ সম্মানজনক অবস্থান। আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শাফাআতে কুবরা বা বড় সুপারিশ। মাকামে মাহমুদ দ্বারা জান্নাতের বিশেষ কোনো স্তর উদ্দেশ্য নয়। হাদিসে এসেছে, হাশরের দিন হাশরবাসীর জন্য সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করবেন। তাঁর সুপারিশের মাধ্যমে পরকালে বিচারকার্য শুরু হবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই কিয়ামাতের দিন লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর