ইসলামি বর্ষপঞ্জির গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোর অন্যতম হলো জিলহজ মাস। এ মাসেই অনুষ্ঠিত হয় হজ এবং মুসলিম উম্মাহ উদ্যাপন করে পবিত্র ঈদুল আজহাত্যাগ ও কোরবানির শিক্ষা বহনকারী শ্রেষ্ঠ উৎসব। বাংলাদেশের আকাশে আজ বুধবার (২৮ মে) পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুযায়ী আগামী ৭ জুন, শনিবার সারাদেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে নতুন চাঁদ দেখতেন এবং সাহাবিদেরও তা দেখার জন্য উৎসাহ দিতেন। শুধু তাই নয়, তিনি নতুন চাঁদ দেখলে একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন, যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত হিসেবে বিবেচিত। এ মহিমান্বিত মাসে চাঁদ দেখে নবীজির শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি এবং ইসলামের ওপর দৃঢ় থাকার তাওফিক কামনা করতে পারি। নিচে দোয়াগুলো তুলে ধরা হলো। হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.)...
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে কোন দোয়া পড়তে হয়?
অনলাইন ডেস্ক

জিলহজের চাঁদ ওঠার আগে চুল-নখ কাটার সওয়াব
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

আজ ২৯ জিলকদ। হতে পারে আজই জিলকদ মাসের শেষ দিন। এই দিনে এমন একটি আমল রয়েছে, যা করলে কোরবানি আদায়ে সামর্থ্য রাখেন না, এমন ব্যক্তিরাও পূর্ণ কোরবানির সওয়াব অর্জন করতে পারে। তা হলো, জিলহজের চাঁদ ওঠার আগে আগে নখ, চুল, গোঁফ, নাভির নিচের পশম ইত্যাদি পরিষ্কার করে ফেলা। জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানির আগ পর্যন্ত এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা। এটি একটি মুস্তাহাব আমল। উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা যদি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম, হাদিস : ৫০১৩) এই বিরতি কতদিন থাকবে এবং এর ফজিলক কী, তাও হাদিসে উল্লেখ আছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কোরবানির দিন সম্পর্কে আদিষ্ট হয়েছি (অর্থাৎ এই দিনে কোরবানি করার আদেশ করা...
জান্নাতের বিশুদ্ধ ছায়ায় এক কোরআনিক ভ্রমণ
ড. এইচ. এম. মুহিব্বুল্লাহ

পবিত্র কুরআনের ৫৬ নম্বর সুরা আল-ওয়াকিআহ এর মধ্যে কিয়ামতের বিভীষিকা, মানুষের বিভিন্ন স্তর এবং জান্নাত-জাহান্নামের পরিণতি খুবই হূদয়গ্রাহীভাবে তুলে ধরেছে। এই সুরার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো জান্নাতিদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে যে মহিমান্বিত আপ্যায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার অসাধারণ বর্ণনা। সুরার ১০ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে তিন শ্রেণির মানুষের কথা বলা হয়েছে সাবিকুন (অগ্রগামী), আসহাবুল ইয়ামিন (ডানদিকের লোকেরা) এবং আসহাবুশ শিমাল (বামদিকের লোকেরা)। এখানে আমাদের আলোচ্য হলো আসহাবুল ইয়ামিন (২৭-৪০ নং আয়াত) অর্থাৎ ডানদিকের লোকেরা। এ জান্নাতের যারা অধিকারী হবেন তাঁদের আপ্যায়নে যা থাকবে আসুন কোরআনের ভাষায় জেনে নেই। কাঁটাবিহীন কুলগাছ : আল্লাহ বিস্ময়ের ভঙ্গিতে ডানদিকের লোকদের (আসহাবুল ইয়ামিন) মর্যাদা ও সৌভাগ্যের দিকে ইঙ্গিত করছেন। তাদের অবস্থা এতই চমত্কার হবে...
নবী ও রাসুলদের হজ
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ

শারীরিক, আর্থিক সামর্থ্য সমন্বিত ইবাদত হজ ইসলামের পঞ্চভিত্তির অন্যতম এবং ফরজ ইবাদত। আরবি হজ শব্দের অর্থ সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা। হজ লাখো জনতার চলমান মহাসমাবেশ এবং আরাফাত, মুজদালিফা, মিনা প্রভৃতি স্থানে যথাসময়ে সুশৃঙ্খল কর্মসম্পাদনের মহাপ্রশিক্ষণ। অগণন জনতা এখানে সমবেত হন, যাঁদের পরনের কাপড় এক, কামনা এক, মনে-মুখে ধ্বনিত হয় একই ভাষার একই উচ্চারণলাব্বাইক! আল্লাহুম্মা লাব্বাইক! (উপস্থিত! হে প্রভু আমি উপস্থিত!!)। ইব্রাহিম (আ.)-কে আবুল আম্বিয়া বা নবীদের পিতা বলা হয়। তিনিই মুসলিম মিল্লাতের প্রতিষ্ঠাতা ...এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম। (সুরা হজ, আয়াত : ৭৮) হজ নবীদের স্মৃতি বিজড়িত ইবাদত। নানান আণুষ্ঠানিকতায় প্রিয়নবী (সা.)-এর আগেও হজের প্রচলিত ছিল। আইয়ামে জাহিলিয়াতে নগ্ন-তাওয়াফসহ মক্কাবাসীরা কাবার চারপাশে ৩৬০টি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত