দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এর কারণ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কেমিকেলযুক্ত ভেজাল খাবার ও পরিবেশ দূষণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি ভালো রাখতে দৈনন্দিন খাবারের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। রাখতে হবে সবুজ শাকসবজি, গোটা শস্য, ফল, চর্বিবিহীন প্রোটিন, সোডিয়াম জাতীয় খাবার। এতে ভালো থাকবে আপনার কিডনি। আজকে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানাব যেগুলো কিডনিকে ভালো রাখতে অনেকটাই সহায়ক কফি কিডনি ভালো রাখতে মাঝে মধ্যেই কফি খেতে পারেন। কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। তবে বেশি পরিমাণে কফি খাবেন না। সেটা আবার শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়। বাদামি চাল ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ সমৃদ্ধ শস্য খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। বাদামি চাল খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম থাকে। যা আপনার কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করবে। মাছ...

খাবারের সময় একটু অসাবধান হলেই মাংসের ছোট হাড় গলায় আটকে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে মুরগি, খাসি কিংবা গরুর মাংসে থাকা সূক্ষ্ম হাড় অনেক সময় গলার ভেতরে আটকে গিয়ে অস্বস্তি ও ভয় তৈরি করে। এই অবস্থায় প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে অনেক সময় চিকিৎসকের শরণ নেওয়ার আগেই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। ঘরোয়া উপায়ে যা করতে পারেন: ১. ভাতের বল গিলে ফেলুন গরম ভাত দিয়ে ছোট একটি বল তৈরি করুন এবং চিবিয়ে না গিলে ধীরে ধীরে গলাধঃকরণ করুন। অনেক সময় এই ভাতের বল হাড়কে নিচে ঠেলে দেয় বা সঙ্গে নিয়ে চলে যায়। ২. কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন এক টুকরো পাকা কলা নিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে অল্প অল্প করে গিলে ফেলুন। কলার নরম ও পিচ্ছিল গঠন হাড়টিকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে। ৩. লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। এতে গলার পেশি আরাম...

কোরবানির ঈদ আসন্ন। এ ঈদে ত্যাগের মহিমার পাশাপাশি উৎসব উদ্যাপনের বিষয়টিও আসে। ফলে ভোজ উৎসবও থাকবে পাশাপাশি। কিন্তু প্রশ্ন থাকে রোগীদের নিয়ে, রক্তরোগীরা কোরবানির মাংস কি খেতে পারবেন? রক্তরোগীদের কোরবানির মাংস খাওয়া উচিত কিনা, তা নির্ভর করে তার নির্দিষ্ট রক্তের রোগের ধরণ এবং রোগের বর্তমান অবস্থার ওপর। তবে কিছু সাধারণ সতর্কতা মেনে চললে বেশিরভাগ রক্তরোগীই পরিমিত পরিমাণে কোরবানির মাংস খেতে পারবেন। সাধারণ নির্দেশনা ১. চিকিৎসকের পরামর্শ: রক্তরোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। চিকিৎসক রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থা এবং প্রয়োজনীয় খাদ্যতালিকাগত সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। ২. চর্বি ও কোলেস্টেরল: কোরবানির মাংসে সাধারণত চর্বি বেশি থাকে। হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে চর্বি...

ম্যাগনেশিয়াম আমাদের শরীরের ৩০০টির বেশি জৈবরাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রম বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে ম্যাগনেশিয়াম। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হাড় শক্তিশালী করতে এবং নেতিয়ে পড়া শরীরকে তাজা করতেম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা দারুণ। এই মৃৎক্ষার ধাতু আমাদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, বিপাক এবং স্বাভাবিক রক্তচাপও বজায় রাখে। ম্যাগনেশিয়ামের অভাব মূলত কী অপর্যাপ্ত মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ করার ফলে যখন শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তখন তাকে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব বলে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রাখার জন্য খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন বা সম্পূরক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাগনেশিয়ামের অভাবজনিত ৯টি লক্ষণ অসাড়তা ও ঝিঁঝি ধরা...