কোরবানির ঈদ মানেই ত্যাগের মহিমা, আত্মার পরিশুদ্ধি আর নানান মাংসের লোভনীয় পদে ভরপুর এক উৎসব। বছরের এই বিশেষ দিনে দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই বিরাজ করে গরু বা খাসির মাংসের সুবাস। কাবাব, রেজালা, কোর্মা থেকে শুরু করে ভুনা পর্যন্ত নানা রকম রান্নায় জমে ওঠে উৎসবের আয়োজনে। তবে উৎসবের এই আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে অনেকেই অজান্তেই অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খেয়ে ফেলেন। চিকিৎসকদের মতে, এতে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা, বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য এটি হতে পারে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। চিকিৎসকরা বলছেন, ঈদের আনন্দে গোস্ত খাওয়া যাবেতবে অবশ্যই সীমিত পরিমাণে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে। ১. হজমের সমস্যা: অতিরিক্ত মাংস, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাংস হজম হতে অনেক সময় নেয়। এতে পেট ব্যথা, গ্যাস, বদহজম,...
অতিরিক্ত গোস্ত খেলে হতে পারে ক্ষতি, জানুন খাওয়ার টিপস
অনলাইন ডেস্ক

ফ্রিজে না রাখলে মাংস কতক্ষণ ভালো থাকে?
অনলাইন ডেস্ক

মাংস ফ্রিজে না রাখলে কতক্ষণ ভালো থাকবে তা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন: (ক) মাংসের ধরণ (গরু, মুরগি, ছাগল ইত্যাদি)। (খ) বাতাসের তাপমাত্রা (যত বেশি গরম, তত দ্রুত নষ্ট হয়)। (গ) মাংসটা কতটা টাটকা ছিল। (ঘ) কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে (ঢেকে রাখা, ছায়ায় রাখা ইত্যাদি)। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে: তাপমাত্রা ২৫-৩০C (গরম আবহাওয়া) ১-২ ঘণ্টা ভালো থাকে। আর ২০C বা এর নিচে (ঠান্ডা ঘর) ২-৪ ঘণ্টা ভালো থাকে। আইস বক্সে সংরক্ষণ ৬-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে। গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: মাংস ফ্রিজে না রেখে বেশি সময় রাখলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। গরম আবহাওয়ায় ১-২ ঘণ্টার বেশি না রাখাই নিরাপদ। যদি ফ্রিজ না থাকে, তবে মাংসকে ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন, এবং সম্ভব হলে আইস প্যাক বা বরফ ব্যবহার করুন। যদি দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়, তবে অবশ্যই...
ঈদে কোরবানির মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত ৪ গাইডলাইন
অনলাইন ডেস্ক

ঈদুল আজহার আনন্দে ঘন ঘন মাংস খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইস্তাম্বুল গেলিসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যতালিকা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এইচ মেরভে বায়রাম জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মাংস খাওয়া বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ১. পুষ্টির দিক থেকে লাল মাংসের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, আয়রন, জিংক, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি-১২। তবে এর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণের কারণে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। অধ্যাপক বায়রাম পরামর্শ দেন যে মাংস খাওয়ার আগে কমপক্ষে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা বিশ্রামে রাখা উচিত, কারণ তাজা জবাই করা মাংস হজমে কঠিন হতে পারে। ২. রান্নার পদ্ধতি স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধ্যাপক বায়রাম সুস্থ ব্যক্তিদের সপ্তাহে দুই...
আপনার ব্রেইন ড্যামেজ করছে যেসব খাবার
অনলাইন ডেস্ক

আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু শরীর নয়, সরাসরি প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কের উপরেও। সুস্থ চিন্তা, ভালো মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক স্থিতিশীলতার পেছনে রয়েছে একটি সুস্থ ও সজাগ মস্তিষ্ক। কিন্তু অনেকেই জানেন না, আমরা প্রতিদিন যে কিছু খাবার খেয়ে থাকি, সেগুলোর কিছু মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর: চিনি চিনি কে না খায়। মিষ্টি স্বাদের প্রায় সব খাবার তৈরিতেই চিনি ব্যবহার করা হয়। অন্তত প্রতিদিনের চা কিংবা কফির সঙ্গে তো চিনি খাওয়া হয়েই থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই চিনি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে? পরিমিত মাত্রায় না খাওয়া হলে এটি শরীরের জন্য নানা ক্ষতি ডেকে আনে। এটি কেবল রক্তে শর্করার মাত্রাই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে এতে থাকা ফ্রুকটোজ মানুষের বুদ্ধির গতিকে মন্থর করে দেয়। যার ফলে কমতে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর