আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ১০ মাস পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক-পরবর্তী যৌথ ঘোষণা ছিল রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এ বৈঠক জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিরাজমান অনিশ্চয়তা দূর করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। রাজনীতিতে অনেকটা চমক দেখানোর মতো ঘটনা ছিল ১৩ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে রাজনীতিতে টানাপোড়ন যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছিল, লন্ডন বৈঠকে তা অনেকটা কেটেছে। সরকার এবং বিএনপি উভয় পক্ষ থেকে এ বৈঠক ফলপ্রসূ বলা হয়েছে। উভয় পক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংস্কার, বিচার, জুলাই সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে একমত হয়েছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিয়ে আগামী বছর রমজানের আগে জাতীয়...
লন্ডন বৈঠক: রাজনীতিতে সুবাতাস
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ
অনলাইন ডেস্ক

সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
মোস্তফা কামাল

উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিক বাস্তবতায় মাদকের সর্বগ্রাসী আগ্রাসনে পুরো বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কেওয়াস, ব্যবসা-বিনিয়োগে খরাসহ অর্থনৈতিক দুর্দশা, কূটনৈতিক টানাপড়েনের আলোচনা-সমালোচনার ব্যতিব্যস্ততার ফাঁকে অনেকের অলক্ষে সেবনসহ মাদকের বিস্তার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশের কোনো কোনো লোকালয়ে ঘরে ঘরে মাদকের কারবার। নেশাগ্রস্ত সন্তানের হাতে মা-বাবা, স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার মতো ঘটনা মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে এসে দিন কয়েক মাতামাতি পর্যন্তই সার। নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। যার জেরে মাদকাসক্তির গ্রাস এখন সর্বত্র। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তরুণসমাজ। মাদকাসক্তিতে তরুণসমাজের একটি বড় অংশ এখন দিকভ্রান্ত ও ধ্বংসপ্রায়। মাদকের ভয়াল এই থাবা প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ যেমন করছে অনিশ্চিত, ঠিক তেমনি ধুঁকে ধুঁকে ছিন্ন করছে তাদের শারীরিক ও মানসিক...
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যত দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় যাওয়ার ও দেশ শাসন করার মতো শব্দগুলো তাদের মস্তিষ্ক থেকে বের করে দিতে না পারবেন, তত দিন পর্যন্ত দেশ ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতা ও শাসন শব্দ দুটির সঙ্গে যে রাজতান্ত্রিক অথবা ঔপনিবেশিক দম্ভ রয়েছে, তা রাষ্ট্রপরিচালনায় জনগণকে তাদের কাক্সিক্ষত অংশীদারত্ব থেকে বঞ্চিত করার ইঙ্গিত দেয়, যাদের কাঁধে পা দিয়ে রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার গদিতে জেঁকে বসেন। দেশটি আর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থাকে না। সংবিধানে জনগণের কাছে জবাবদিহির শর্ত আছে, কেউ জবাবদিহির ধার ধারেন না। তাদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা থাকা তো দূরের কথা। বাংলাদেশে ভোটে বা বিনা ভোটে অনুষ্ঠিত ১২টি জাতীয় সংসদে যারা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারা কি কখনো তাদের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে বলেছেন, নির্বাচিত হলে আমি একটি সরকারি প্লট নেব,...
ড. ইউনূস-তারেক রহমানের ‘সন্তুষ্টি’তে স্বস্তি টেকসই হবে কি

রাজনৈতিক বিতর্ক যে সাম্প্রতিক সময়ে নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাভাবিক কাজকর্ম ও গতিকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বাধাগ্রস্ত করছিল, তা সবার জন্যই একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দীর্ঘ নির্বাসনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাতের উদ্যোগে তাই স্বাভাবিকভাবেই সবার কৌতূহল ও আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ও বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যেও প্রকাশ পায় যে উভয় দিক থেকেই এ বৈঠকের তাগিদ অনুভূত হয়েছে। বৈঠকের পর উভয় তরফেই আলোচনার ফলাফলে যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে, তা সবার জন্যই স্বস্তিদায়ক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই স্বস্তি স্থায়ী হবে কি না? সংকটের গভীরতা বা উভয় পক্ষের মধ্যে দূরত্ব কতটা প্রকট ছিল, তার ওপরেও কিন্তু স্বস্তির স্থায়িত্ব কিছুটা নির্ভর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর