স্কুলে নজরদারি বাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

স্কুলে নজরদারি বাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শিক্ষার মান ঠিক রাখতে সারা দেশের স্কুলগুলোতে তদারকি বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন।

জেএসসি ও জেডেসিতে এবার পাসের হার এবং জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে কমেছে। সম্মিলিতভাবে এবার পাস করেছে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী; এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।

গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে ৯৩ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। দুই লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন পূর্ণ জিপিএ পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,“আমাদের স্কুলগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা; এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।

এটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। ”

আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। সারা দেশে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে যার যার বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে দেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা সচিব এবং মন্ত্রনালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

পাসের হার কমে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“এ বছর যেহেতু আপনাদের নজরদারি বেড়েছে; সে কারণে হয়ত একটু কম। আশা করি ভবিষ্যতে যেন আরও বাড়ে। ”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে, আমরা সব রকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। সেখানে,তারা ফেল করবে কেন? তাদের মেধা আছে। ”

স্কুলগুলোতে নজরদারির পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠক্রম পরিবর্তনের তাগিদ দেন তিনি।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।

এবার প্রাথমিকে ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ইবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে  প্রাথমিকে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন এবং ইবতেদায়ীতে ৫ হাজার ২৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এই হিসাবে পঞ্চমের এই সমাপনী পরীক্ষাতেও পাসের হারের সঙ্গে সঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।

সম্পর্কিত খবর