দরুদ শরিফ পড়ার নিয়ম

দরুদ শরিফ পড়ার নিয়ম

অনলাইন ডেস্ক

আল্লাহতায়ালার দরবারে যেকোনো ইবাদত ও দোয়া কবুল হতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা অত্যন্ত জরুরি। দরুদ শরিফ পাঠে আল্লাহর দরবারে ইবাদতের বিনিময় সুনিশ্চিত হয়। কোরআনে এসেছে ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ দরুদ ও সালাম পেশ করো’ (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)।

* জীবনে একবার দরুদ-সালাম পাঠ করা ফরজে আইন।

* দরুদ-সালাম অত্যন্ত আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সঙ্গে খুব ধীরস্থিরভাবে চুপি চুপি পড়া উচিত।

* দরুদ পড়ার সময় অধিক নড়াচড়া, মাথা দুলানো, চিৎকার বা উঁচু আওয়াজ করা যাবে না।

* একই বৈঠকে একাধিকবার নবী (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে প্রথমবার সবার জন্য দরুদ পাঠ করা আবশ্যক (ওয়াজিব)।

* নবীজি (সা.)-এর নাম এক বৈঠকে বারবার লিখলে প্রথমবার দরুদ লিখা আবশ্যক (ওয়াজিব)।

কেই এই দিহান?

যেভাবে মানুষের ‘রুহ’ কবজ করা হয়

সম্পর্ক মধুর হয় যে কারনে

* অজু ছাড়া যে কোনো অবস্থায় দরুদ পড়া যায়। তবে অজু অবস্থায় এবং আদবের সঙ্গে দরুদ পড়া উত্তম।

* জুমা বা ঈদের খুতবায় নবী (সা.)-এর নাম এলে মনে মনে দরুদ পড়বে, মুখে উচ্চারণ করবে না।

* নবীজির রওজা শরিফ জিয়ারত ও তার নাম বলা বা শোনার সময়। মসজিদে প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময়। কোনো বৈঠক থেকে ওঠার সময়। দোয়া বা মোনাজাতের আগে ও পরে। আজানের পর দোয়ার আগে। অজুর শেষে, চিঠিপত্র বা অন্য কিছু লিখার আগে। কোরআন তেলাওয়াত বা অন্য কোনো বইপুস্তক পাঠের আগে। দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ ও সব রকমের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় বেশি করে দরুদ পড়ুন।

news24bd.tv/আলী